মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের বারোটি উপায়

মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায় বর্তমান সময়ে সহজ তাই নয় কি। বর্তমান সময়ে এটি বেশ সহজে সম্ভব কারণ প্রযুক্তির সহায়তায়। আজকে আর্টিকেলে আপনাকে প্রমাণিত কিছু পন্থা দেখাবো যা অনুসরণ করে আপনি সহজে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের টার্গেট করতে পারেন। 

মাসে-৫০,০০০-টাকা-ইনকামের-উপায়

যদিও এ টার্গেট চ্যালেঞ্জের বিষয় তবে সঠিক পরিকল্পনা দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এই অর্জন করা সম্ভব। তাহলে জেনে নেয়া যায় মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায়

মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায় 

মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায়, আধুনিক যুগে শুধু চাকরির বেতনের ওপর নির্ভর করে স্বপ্নপূরণ করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে আয়ের নতুন নতুন সুযোগও। আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় চাইলেই ঘরে বসে কিংবা সামান্য মূলধন দিয়ে শুরু করে মাসে ৫০,০০০ টাকা বা তারও বেশি আয় করা সম্ভব। এজন্য দরকার  

আরো পড়ুনঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

সঠিক পরিকল্পনা, নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বেছে নেওয়া এবং নিয়মিত পরিশ্রম করা। ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা দক্ষতা ভিত্তিক কাজ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্যের সুযোগ রয়েছে। তাই যে কেউ চাইলে নিজের অবস্থান থেকে মাসে একটি সম্মানজনক আয় করতে পারেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক মাছ ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হলেন এমন একজন দক্ষ ব্যক্তি যিনি কোনো ব্র্যান্ড, কোম্পানি বা ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিক টক ইত্যাদি। ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মকে পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করেন। তার কাজ হল

ব্র্যান্ডকে মানুষের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা ফলোয়ার ও গ্রাহক বাড়ানো ব্যবসায় বিক্রি ও সুনাম বৃদ্ধি করা। 

কনটেন্ট পরিকল্পনা ও তৈরিঃ মাসিক বা সাপ্তাহিক কনটেন্ট ক্যালেন্ডার বানানো। পোস্ট, ভিডিও, ক্যারোসেল, স্টোরি ইত্যাদির ধরন নির্ধারণ।

পোস্ট প্রচার ও পরিচালনাঃ মাসিক বা সাপ্তাহিক কনটেন্ট ক্যালেন্ডার বানানো। পোস্ট, ভিডিও, ক্যারোসেল, স্টোরি ইত্যাদির ধরন নির্ধারণ। 

অডিয়েন্স ও এনগেজমেন্টঃ ফলোয়ারদের কমেন্ট ও মেসেজের উত্তর দেওয়া, গ্রাহকের প্রশ্ন ও সমস্যার এবং সমাধান করা কমিউনিটি তৈরি করা। 

বিজ্ঞাপন পরিচালনাঃ ফেসবুক, ইউটিউব, টিক টক এবং instagram। লক্ষ্যভিত্তিক গ্রাহক (Target Audience) নির্বাচন করা ও বাজেট কন্ট্রোল ও ফলাফল বিশ্লেষণ করা।

ডাটা বিশ্লেষণ ও রিপোর্টিংঃ কোন কনটেন্টে বেশি রিচ হচ্ছে তা বোঝা, মাসিক রিপোর্ট তৈরি করে ফলাফল শেয়ার করা এবং ডাটা দেখে পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করা।

ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করে

ফেসবুকে পণ্য বিক্রি এখনকার সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় ও কার্যকরী অনলাইন ব্যবসার মাধ্যম। এখানে আপনি খুব সহজেই আপনার পণ্য প্রচার করতে পারেন এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। নিচে ফেসবুকে পণ্য বিক্রির কিভাবে শুরু করবেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

ব্যবসার জন্য ফেসবুক পেজ তৈরি করুনঃ একটি প্রফেশনাল নাম দিন। লোগো ও কভার ফটো যুক্ত করুন। পেজের এবাউট সেকশন এ আপনার ব্যবসার বিস্তারিত তথ্য (ফোন, ঠিকানা, ওয়েবসাইট, ইমেইল ইত্যাদি) দিন।

পণ্য আপলোড করুনঃ প্রতিটি পণ্যের স্পষ্ট ছবি তুলুন। বিস্তারিত বর্ণনা লিখুন (উপকারিতা, দাম, সাইজ/ওজন, ব্যবহারের নিয়ম)।হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।

নিয়মিত কনটেন্ট পোস্টঃ পণ্যের ছবি ও ভিডিও। কাস্টমার রিভিউ। পণ্যের ব্যবহার পদ্ধতি। অফার/ডিসকাউন্ট ঘোষণার পোস্ট।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করুনঃ ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য দিলে সহজে লোকাল ক্রেতা পাওয়া যায়। এখানে সার্চ করলে মানুষ দ্রুত আপনার পণ্য খুঁজে পায়।

ফেসবুক বিজ্ঞাপনঃ বাজেট অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন। টার্গেট করুন: বয়স, লোকেশন, আগ্রহ, লিঙ্গ ইত্যাদি।

ক্রেতা সাথে যোগাযোগ সাথে বাজায় রাখুনঃ দ্রুত রিপ্লাই দিন। কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ভালো রাখুন। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে Cash on Delivery রাখুন।

পেমেন্ট ও ডেলিভারি সিস্টেমঃ বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংক ট্রান্সফার যেকোনো মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারেন। নির্ভরযোগ্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করুন (যেমন -Pathao, Steadfast, RedX)।

অনলাইনে ব্লক লিখে 

ব্লগ হলো একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন জার্নাল যেখানে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করা হয়। এটি হতে পারে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, টিপস, রিভিউ, টিউটোরিয়াল, খবর, অথবা কোনো বিশেষ বিষয়ের তথ্যভিত্তিক লেখা।

ব্লগ লেখার জন্য প্রথমে বিষয় নির্বাচন করতে হবে কোন বিষয়ে লিখবেন তা আগে ঠিক করতে হবে। যেমন– স্বাস্থ্য, রূপচর্চা, ভ্রমণ, প্রযুক্তি, শিক্ষা, রান্না, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

ডোমেইন হোস্টিংঃ নিজের নামে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে একটি ডোমেইন নাম (যেমনঃ myblog.com) এবং ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবে।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায়

ব্লগিং প্ল্যাটফর্মঃ WordPress.org (সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ফ্লেক্সিবল)। Blogger (বিনামূল্যে শুরু করার সুযোগ) Medium (সহজে লেখা প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম)।

কন্টেন্ট রাইটিং স্কিলঃ ব্লগ লেখার জন্য সুন্দরভাবে লেখার দক্ষতা থাকা জরুরি। পাঠকের ভাষায় সহজভাবে তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।

এসইও জ্ঞানঃ সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগকে উপরের দিকে আনতে হলে কীওয়ার্ড রিসার্চ, মেটা টাইটেল, ডেসক্রিপশন, লিঙ্ক বিল্ডিং, কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন জানতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম 

ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি অনলাইন জব। বিশেষ করে যারা ঘরে বসে কাজ করতে চান অথবা নতুন শুরু করতে চান তাদের জন্য এটি বেশ সহজ ও কার্যকরী একটি উপায়।

ডাটা এন্ট্রি কি? ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে বিভিন্ন তথ্য কম্পিউটার বা অনলাইনে সঠিকভাবে টাইপ করা, কপি-পেস্ট করা বা সাজানো। যেমন কাগজ বা ছবি থেকে তথ্য টাইপ করা Excel বা Google Sheet-এ ডাটা বসানো ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা ফর্ম পূরণ করা অডিও শুনে টেক্সট লেখা। 

বর্তমানে অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়, যেমনঃ আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস Upwork; Fiverr; Freelancer; PeoplePerHour.

মাইক্রো ওয়ার্ক সাইটঃ Clickowrker; Amazon Mechanical; Microworkers.

এছাড়াও বিভিন্ন ই-কমার্স, সফটওয়্যার কোম্পানি ও বিজনেস প্রতিষ্ঠানও ডাটা এন্ট্রির জন্য লোক নিয়োগ করে থাকে।

ভিডিও বানিয়ে ইনকাম 

ভিডিও বানিয়ে আয় করা আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় খুব জনপ্রিয় একটি আয়ের উপায়। অনলাইনে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে সহজেই নিজের দক্ষতা, প্রতিভা বা জ্ঞান বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

ভিডিও বানানোর মূল উদ্দেশ্যঃ বিনোদন দেওয়ার জন্য গান, ডান্স, কমেডি, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি। শিক্ষা দেওয়ার জন্য  টিউটোরিয়াল, কোর্স, লেকচার, টেক টিপস। তথ্য প্রদানের জন্য খবর, রিভিউ, প্রোডাক্ট আনবক্সিং। ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরির জন্য ব্লগিং (Vlogging), লাইফস্টাইল ভিডিও। মার্কেটিং বিজনেস প্রচার  ব্যবসার বিজ্ঞাপন, প্রোডাক্ট প্রমোশন।

আর হচ্ছে ভিডিও বানিয়ে করার উপায়ঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চালিয়ে টাকা আয়। স্পনসরশিপ কোনো কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচারের জন্য আপনাকে পেমেন্ট দেবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং ভিডিওতে পণ্যের লিঙ্ক দিয়ে কমিশন আয়। ফেসবুক বা টিক টক মনিটাইজেশন। ভিউ, বিজ্ঞাপন ও গিফটের মাধ্যমে  আয়। নিজস্ব কোর্স বানিয়ে বিক্রি করা। নিজস্ব কোর্স বানিয়ে বিক্রি করা।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ছবি বিক্রি একটি জনপ্রিয় ইনকাম সোর্স। আপনার কাছে যদি ভালো মানের ছবি তোলার দক্ষতা এবং সৃজনশীল দৃষ্টি থাকে, তবে সহজেই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্লগার, ইউটিউবার, ডিজাইনার, ম্যাগাজিন, নিউজ পোর্টাল বা মার্কেটার তাদের কনটেন্ট সাজানোর জন্য ছবি ব্যবহার করে। তারা প্রতিবার ছবি কিনে ব্যবহার করে থাকে। সেই ছবিগুলো মূলত স্টক ফটো ওয়েবসাইট থেকে কেনা হয়। আপনি যদি নিজের তোলা ছবি এসব প্ল্যাটফর্মে আপলোড করেন, তাহলে সেগুলো বিক্রি হলে আপনি আয় করবেন।

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্টক ফটো সাইট। ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর ইউজারদের জন্য অন্যতম ভালো প্ল্যাটফর্ম। লাইফস্টাইল ছবি (মানুষের কাজকর্ম, পরিবার, অফিস ইত্যাদি)। খাবারের ছবি (Food Photography)। প্রকৃতি ও ভ্রমণের ছবি। বিজনেস ও টেকনোলজি সম্পর্কিত ছবি। ফেস্টিভ্যাল ও কালচারাল ইভেন্টের ছবি। হেলথ ও ফিটনেস ছবি এ ধরনের ছবি বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। 

প্রতিবার ছবি বিক্রি হলে আপনি কমিশন পাবেন (১৫% থেকে ৬০% পর্যন্ত)। কিছু প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট শর্তে ছবি বিক্রি করলে বেশি কমিশন পাওয়া যায়। অনেক ইউজার মাসিক সাবস্ক্রিপশনে ছবি কেনে, সেখান থেকেও আয় আসে।

অনলাইনে টিউশনি করে 

এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ভিডিও কল, লাইভ ক্লাস, রেকর্ডেড ভিডিও বা ইন্টার‌্যাক্টিভ টুলস ব্যবহার করে পাঠদান ও গ্রহণ করে।

  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে- Fiverr, Upwork, Preply, Superprof
  • বিশেষ টিউশন প্লাটফর্ম-  Chegg, Vedantu, Byju’s, MyTutor
  • সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক গ্রুপ- টিউশন সম্পর্কিত গ্রুপে বিজ্ঞাপন দিয়ে
  • ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ খুলে
  • এখানে আয় হয়ে থাকেঃ শুরুতে ঘন্টাপ্রতি ২০০-৫০০ টাকা (বাংলাদেশে) বা $3 - $10 (আন্তর্জাতিক বাজারে) পাওয়া যায়। অভিজ্ঞতা ও সুনাম বাড়লে ঘন্টাপ্রতি $20 - $50 পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। একাধিক শিক্ষার্থী পড়ালে মাসিক ৩০,০০০ - ১,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম সম্ভব।

    ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামের উপায় 

    ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মসহ বিশ্বের অনেক মানুষের জন্য একটি বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি কাজ যেখানে নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে চাকরি না করে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের কাজ সম্পন্ন করে আয় করা যায়। নিচে ফ্রিল্যান্সিং করে কীভাবে আয় করা যায়, তা আলোচনা করা হলোঃ

    ফ্রিল্যান্সিং হলো স্বনির্ভরভাবে কাজ করার একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেন। এখানে নির্দিষ্ট সময় বা জায়গার বাধ্যবাধকতা নেই। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অসংখ্য ক্যাটাগরি রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় ও চাহিদাসম্পন্ন কাজ হলো।

    যেসব জব করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করা যায় সেগুলো হচ্ছে

  • গ্রাফিক ডিজাইন - লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট - ওয়েবসাইট তৈরি, কাস্টমাইজেশন, ই-কমার্স সাইট।
  • কনটেন্ট রাইটিং - আর্টিকেল, ব্লগ, কপিরাইটিং, প্রোডাক্ট বর্ণনা।
  • ভিডিও এডিটিং এবং অ্যানিমেশন - ভিডিও কাটিং, মোশন গ্রাফিক্স, ইউটিউব ভিডিও এডিটিং।
  • ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট -  এক্সেল কাজ, ডাটা কালেকশন, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট।
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট - মোবাইল অ্যাপ তৈরি ও মেইনটেনেন্স।
  • ভয়েস অফার ও ট্রান্সলেশন - বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ ও অডিও রেকর্ডিং।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে

    অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অনলাইনে আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইনে প্রচার করে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করার একটি প্রক্রিয়া।

    অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি কোনো কোম্পানি বা মার্কেটপ্লেসের প্রোডাক্ট/সার্ভিস আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার করবেন। কেউ আপনার শেয়ার করা লিংক ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে আপনি কমিশন পাবেন।

    আরো পড়ুনঃ মেথি ও কালোজিরা দিয়ে চুলের যত্ন

    অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রথমে নির্বাচন করতে হবেঃপ্রথমেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কাজ করতে হবে। যেমন স্বাস্থ্য ও ফিটনেস, টেকনোলজি ও গ্যাজেট, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল, অনলাইন কোর্স ও ই-বুক, ভ্রমণ।

    প্ল্যাটফর্ম লাগবেঃ আপনার কনটেন্ট প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম লাগবে। সেটা হতে পারে ব্লগ/ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ/গ্রুপ ইনস্টাগ্রাম/টিকটক।

    ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে 

    ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলেন একজন অনলাইন পেশাজীবী, যিনি বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া বা কাস্টমার সাপোর্ট সম্পর্কিত কাজ দূর থেকে (রিমোটলি) করে থাকেন। সহজভাবে বললে, আপনি কোম্পানি বা ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজকে সহজ করতে অনলাইনে সাহায্য করবেন।

    এগুলো যেভাবে কাজ পাওয়া যায় -ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসেঃ Upwork, Fiverr, Freelancer, PeoplePerHour. রিমোট জব সাইট Remote.co, VirtualStaffFinder, WeWorkRemotely. সোশ্যাল মিডিয়া ও নেটওয়ার্ক LinkedIn, Facebook গ্রুপ। সাধারণত নতুনরা তিন থেকে পাঁচ ডলার চার্জ করতে পারেন। অভিজ্ঞরা ঘন্টায় ১০ থেকে ২৫ ডলার নিতে পারেন। 

    নার্সারি ও বাগানে ইনকাম  

    নার্সারি ও বাগান করে আয় করা বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় পেশা। সঠিক পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও মার্কেটিং করলে এ খাতে দীর্ঘমেয়াদে ভালো ইনকাম করা সম্ভব। নিচে নার্সারি ও বাগান থেকে আয় করার বিভিন্ন দিক।

    চারা গাছ বিক্রিঃ ফলজ গাছ (আম, লিচু, পেয়ারা, কাঁঠাল ইত্যাদি) বনজ গাছ (সেগুন, মেহগনি, গামার) ফুলের গাছ (গোলাপ, রজনীগন্ধা, বাগানবিলাস, টিউলিপ) ঔষধি গাছ (নিম, তুলসী, অ্যালোভেরা)।

    টব ও সোপিস বিক্রিঃ ঘর সাজানোর জন্য মানিপ্ল্যান্ট, ক্যাকটাস, বনসাই, অর্কিড ইত্যাদির চাহিদা অনেক। অনলাইনে ও শোরুমে বিক্রি করলে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।

    মৌসুমী গাছের চাহিদাঃ বর্ষাকালে বনজ ও ফলজ গাছ, গ্রীষ্মে ফুলগাছ ও শীতে শাকসবজি ও ফুলের চারা।

    নার্সারি সার্ভিস থেকে আয়ঃ বাগান তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ সার্ভিস দেওয়া। অফিস, স্কুল-কলেজ, রিসোর্ট ও বাড়ির গার্ডেন সাজানোর কাজ।

    দর্জির কাজ করে ইনকাম করা 

    দর্জির কাজ (Tailoring) এমন একটি পেশা, যেটি দিয়ে শহর বা গ্রামে সহজেই আয় করা সম্ভব। এই কাজ শিখে ছোট থেকে বড় ব্যবসায় রূপ দেওয়া যায়। নিচে দর্জির কাজ করে ইনকাম করার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

    নিজস্ব দোকান খোলাঃ বাজার এলাকায় দোকান খুলে অর্ডার নেওয়া যায়। বেশি গ্রাহক পাওয়া সহজ হয়।

    ঘরে বসে কাজঃ মহিলারা বাড়িতে বসেই ব্লাউজ, শাড়ির পেটিকোট, সেলোয়ার-কামিজ বানিয়ে আয় করতে পারেন। পাশের মানুষদের থেকে অর্ডার নিয়ে কাজ করা যায়।

    অনলাইনে প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেঃ ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ খুলে কাস্টমাইজড পোশাক বানিয়ে ডেলিভারি দেওয়া যায়। অনলাইন মার্কেটপ্লেস (Daraz, Ajkerdeal ইত্যাদি)-এ কাজ করা যায়।

    কন্ট্রাক্ট কাজ করেঃ স্কুল, গার্মেন্টস, অফিস ড্রেস সেলাইয়ের কনট্রাক্ট নিলে বড় অঙ্কের আয় সম্ভব।

    শেষ কথাঃ মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায়

    মাসে ৫০,০০০ টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে জানতে পারলেন। এগুলো জানার পরে টাকা ইনকাম করার জন্য চিন্তাভাবনা করছেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমে ধৈর্য ও কৌশল দিয়ে কাজ করতে হবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য। আপনি যদি শুধুমাত্র বুদ্ধি খাটিয়ে কৌশল ব্যবহার করে কাজ করেন তাহলে 

    মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা তেমন কোনো কঠিন ব্যাপার না। আজকের এই আঁটি ফেলে তুলে ধরেছি ইউনিয়নে ৫০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করা যায় সেসব উপায় সম্পর্কে। এই কাজগুলো সঠিক গাইডলাইন মেনে কাজ করলে মাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব তাহলে বুঝতে পারছেন মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা তেমন কঠিন বিষয়। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url