দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার দারুণ কিছু উপায়
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায় ওজন এমন একটি বিষয় যা বেশি হলে সমস্যা আবার কম হলেও সমস্যা। প্রত্যেক মানুষের একটি আদর্শ ওজন থাকে যা তার বয়স এবং হাইট অনুযায়ী হয়।
আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকি, কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হওয়ায় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দ্রুত জন বৃদ্ধি করার উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সূচিপত্রঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার দারুণ কিছু উপায়
- দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায়
- কিভাবে ক্যালরি বাড়াবেন?
- ক্যালোরি কাউন্ট খেয়াল রাখা
- ওজন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
- পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কিছু টিপস
- দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা
- দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে?
- ওজন বাড়াতে খাবেন যে সব ভিটামিন
- ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট চার্ট
- আদর্শ ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট
- দ্রুত ওজন বাড়াতে কিসমিসের উপকারিতাস
- দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ
- মন্তব্য: দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায়
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায়
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায়, ওজন বেশি হলে সমস্যা আবার কম হলেও সমস্যা। একটি আদর্শ ওজন থাকে যা তার বয়স এবং হাইট অনুযায়ী হয়। এই আদর্শ ওজন মেন্টেন করা সবার জন্য একটি স্বাভাবিকের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকি, কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হওয়ায় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহারের
আন্ডার ওয়েট প্রবলেম নিয়ে অনেকেই স্ট্রাগল করেন। আবার কেউ মনে করেন বেশি করে খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে। তবে এটা নয়, না বুঝে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বেশি মোটা হওয়ার জন্য আপনার ভবিষ্যতে ক্ষতি হতে পারে। আপনারা যারা কম ওজন নিয়ে চিন্তিত আছেন। আজকে সহজ ও কার্যকরী টিপস তাদের জন্য, তাই দেরি না করে আমাদের সাথেই থাকুন।
কিভাবে ক্যালরি বাড়াবেন?
দিনে একাধিকবার খাবার খান
মানুষ প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবার খাবার খান। আপনারা ওজন বাড়াতে চান তারা পাঁচ
থেকে ছয় বার দিনে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার শরীরের নিয়ম মাফিক
ক্যালরি প্রবেশ করবে এবং আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। এইসব খাবারগুলো যেন ভারী ও
পুষ্টিকর হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যোগ করুন
আপনার প্রতিদিনের প্রধান খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যোগ করবেন। যেমন জাফরান বাদাম, মিল্কশেল, ফল মিষ্টি, আলুর, চিজ, এগুলো খুবই ভালো। এইসব খাবার আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি প্রদান করে এবং ক্যালরি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনি খাবারের সময়ের ফাঁকে ফাঁকে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাবেন।
স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার কে সাহায্য করতে পারে স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার। সেসব চর্বিযুক্ত খাবার গুলোর নাম হল নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, এবং বীজ জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকার চর্বির ভালো উৎস নারিকেল তেল। এসব চর্বিযুক্ত খাবার গুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য কর্রে
ক্যালোরি কাউন্ট খেয়াল রাখা
ওজন বৃদ্ধি করা যায় ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে। যতটুকু ক্যালোরি প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি করে খেয়ে ক্যালরি গ্রহণ করবেন। শরীরের জন্য কতটুকু ক্যালোরি প্রয়োজন ক্যালকুলেটর মাধ্যমে জানতে পারবেন। যদি ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে চান তাহলে ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি বেশি খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কেন পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ?
আর আপনি যদি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে ৭০০ থেকে ১০০০
ক্যালোরি বেশি রাখতে হবে আপনার খাবারে। তাই আপনি পুষ্টিবিদদের কাজ হতে প্রোপার
ডায়েট প্লান চাট তৈরি করে নিতে পারেন এবং সে অনুযায়ী খাবার খেতে পারেন তাহলে
আপনি দ্রুত সময়ে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে পর্যাপ্ত
পরিমাণ প্রোটিন। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে পার্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণের
ফলে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার হতে পারে
যেমন মাছ মাংস ডিম আইটেম বাদাম ইত্যাদি আপনার এই ফুড চাটে খাবারগুলো রাখতে পারেন।
আর নিয়ম করে প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকুন।
প্রোটিন স্মোদি খাওয়া
বেশ কার্যকর ওজন বৃদ্ধি করতে প্রোটিন স্মোদি। তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের নাটস,ফ্রুটস দিয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারে স্মোদি। ঘরে বসে সহজেই তৈরি করা যায় প্রোটিন স্মোদি রেসিপি, চলুন দেখা চলুন তাহলে শেষ সব সম্পর্কে জানা যাক
একটি কলা, এক চামচ চিয়া সিড, হাফ কাপ মিষ্টি দই, এক টেবিল চামচ পিনের বাটা্র, সবগুলো উপাদান মিক্স করলে পেয়ে যাবেন সুস্বাদু প্রোটিন স্মোদি।
এনার্জি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, আখরোট। এছাড়াও অটোস ব্রাউন রাইস, চিকেন নারকেল দুধ খেজুর, ফুল ফ্যাট টক, দই, চিড, কিসমিস, অলিভ অয়েল ইত্যাদি এইসব খাবারগুলো আপনার এনার্জি ধরে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে।
ওজন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনার পর্যাপ্ত ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম আপনার শরীরের
পেশি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, শরীরের মেরামত এবং পুনর্জীবন ভূমিকা পালন করে থাকে।
সঠিক পরিমাণে ঘুমের অভাবে আপনার শরীরের বিপদ প্রক্রিয়া ও পেশি গঠনে হার কমে
যায়, এবং ওজন বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্থ করে। তাই আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবেন।
কেন পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ?
পেশির বৃদ্ধিঃ ঘুমের মাধ্যমে আপনার পেশির বৃদ্ধি ও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কারণ ঘুমের সময় শরীর থেকে গ্রোথ হরমোন নিষ্ক্রিয় হয়।
হরমোন ভাইরাসঃ আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শরীরের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের
ভাইরাস বজায় রাখতে সহায়তা করে যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কিছু টিপস
একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিনের অভ্যাস গড়ে তুলেন।
শোয়ার আগে আপনি মনকে শান্ত করতে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
আপনাকে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীর
ভালো ভাবে বিশ্রাম হবে এটি আপনার ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সাহায্য করবে।
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায় খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে যে ওজন বাড়ানো সম্ভব এটা কিন্তু সঠিক নয়। প্রয়োজন আছে নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করা। আপনাকে কে ব্যায়ামের মাধ্যমে শুধু ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে না বরং আপনাকে আরো সুন্দর শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। আপনার ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ক্যালরি খরচ এবং শক্তিশালী বৃদ্ধি আর মাংসপেশিপ গঠন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ ওজন বাড়াতে কিসমিস এর উপকারিতা
সেজন্য আপনার প্রাথমিক ব্যায়ামগুলো হচ্ছে ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস, স্কয়াট এই ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে আপনি দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন। তবে দ্রুত ওজন বাড়ানো সহজ প্রক্রিয়া নয়। তার জন্য নিয়মাবর্তিতা এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন আপনাকে নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যায়াম এবং বিশ্রাম মেনে চলেন খাদ্যাভাস।
তবে ধীরে ধীরে আপনি আপনার ওজন বাড়াতে সক্ষম হবেন।আপনারা যারা দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছেন। এইসব গাইড লাইন গুলো অনুসরণ করে চলতে পারেন। তাহলে আপনার দ্রুত ওজনের উন্নতি ঘটবে।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে?
প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আদর্শ ওজন থাকা জরুরী। স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন যেমন ভালো নয় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ওজন ভালো নয়। যেসব ব্যক্তিদের স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম তাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত শরীর যাত্রা এবং সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি। নিচে সেসব খাবারগুলোর আলোচনা করা হলো।
1. দিনে একাধিকবার খাবার খানঃ প্রত্যেক মানুষ প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবার খাবার খান। কিন্তু যারা ওজন বাড়াতে চান তারা পাঁচ থেকে ছয় বার দিনে খাবার খাবেন। এতে করে আপনার শরীরের নিয়ম মাফিক ক্যালরি প্রবেশ করবে এবং আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। এইসব খাবারগুলো যেন ভারী ও পুষ্টিকর হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
2. আমিষ যুক্ত খাবার গ্রহণঃ আমের যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী দ্রুত ওজন বাড়াবে। আমিষ নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ দশমিক ৫থেকে ২ দশমিক ২ গ্রাম পর্যন্ত। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, বিজজাতীয় খাবারে আমিষ ভালো পরিমাণ পাওয়া যায়।
3. শর্করা জাতীয় খাবারঃ কিছু ব্যক্তি একেবারে শর্তরা জাতীয় খাবার কম খায়। তাদের জন্য এটা ঠিক নয়, যাদের ওজন কম আছে অবশ্যই তাদেরকে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকদিন দৈনিক তিনবার শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে হচ্ছে চাল, আটা, পাস্তাও আলু রয়েছে।
4. প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা: আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে পার্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণের ফলে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার হতে পারে যেমন মাছ মাংস ডিম আইটেম বাদাম ইত্যাদি আপনার এই ফুড চাটে খাবারগুলো রাখতে পারেন। আর নিয়ম করে প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকুন।
5. জীবনযাপনঃ জীবনযাপন পদ্ধতি স্বাস্থ্যকর হতে হবে ওজন বাড়াতে চাইলে। নিয়মিত ঘুমাতে হবে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা চলবে না। প্রত্যেকদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো ভালো, আপনাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।
ওজন বাড়াতে খাবেন যে সব ভিটামিন
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়, ওজন এমন একটি বিষয় যা বেশি হলে সমস্যা আবার কম হলেও সমস্যা। প্রত্যেক মানুষের একটি আদর্শ ওজন থাকে যা তার বয়স এবং হাইট অনুযায়ী হয়। এই আদর্শ ওজন মেন্টেন করা সবার জন্য একটি স্বাভাবিকের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকি, কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হওয়ায় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন গুলোর নাম।
কেন ভিটামিন প্রয়োজন ওজন বাড়ানোর জন্য?
সঠিক পুষ্টিগুণের মাধ্যমে আমাদের শরীরের শক্তি সংগ্রহ করে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন
কার্যপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করে ভিটামিন গুলো। যেমনঃ
শক্তি উৎপাদন,
খুদা বাড়ানো,
মেটাবলিজম বৃদ্ধি।
আপনার ভিটামিনের সমস্যা থাকলে বা ভিটামিন কম থাকলে ওজন বৃদ্ধিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন ভিটামিন আপনার শরীরে সরাসরি কাজ করবে না ওজন বৃদ্ধির জন্য। তবে তেমন কিছু ভিটামিন আছে যা আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য সাহায্য করে থাকে। ভিটামিন গুলো হচ্ছে শোষণ শক্তি এবং মেটাবলিজম উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত করে।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ আপনার শরীরে কোষের গঠনের সাহায্য করবে এবং শরীরের টিস্যুতে। এ ভিটামিন
আপনার হার মজবুত করে এবং সঠিক বৃদ্ধ নিশ্চিত করে।
খাদ্যের উৎস
ঘি, ডিমের কুসু্ মিষ্টি আলু, গাজর,কুমড়া।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আপনার দ্রুত এনার্জি সোশনে সাহায্য করে খাবার থেকে শুরু করে। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন বি১ ওজন বাড়াতে কার্যকর।
খাদ্যর উৎস ছোলা, শাকসবজি, কলা, চিয়া সিড, শস্য বাদাম, ডিম, মাছ, মাংস
ইত্যাদি।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং ওজন বাড়ানোর সাথে যুক্ত না হলেও। তবে শরীরকে সুস্থ রাখে, এমিয়ন সিস্টেম শক্তিশালী করে যা ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। যেমন আয়রন, শর্করা এবং রক্তকণিকা তৈরি প্রক্রিয়াকরণ সাহায্য করে।
খাদ্যের উৎস
আলু,কমলালেবু, লেবু, সোজনে পাতা, মরিঙ্গা পাউডার, আমলকি, ট্মেটো, পেয়ারা, পুঁইশাক, স্ট্রবেরি, পেঁপে,শসা, ভিটামিন সি এর উৎসব।
ভিটামিন ডি
শরীরের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। হারকে মজবুত ও পেশি গঠন করতে সাহায্য করে। যাদের ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খাদ্যের উৎস
মাশরুম, ঘি, চর্বিযুক্ত, মাছ, সূর্যের আলো, চিয়া সিড ডিমের কুসুম, দুধ,
দুই।
ভিটামিন ই
একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হচ্ছে ভিটামিন ই। যা শক্তি বৃদ্ধি এবং শরীরের
কোষ পূর্ণ গঠন করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর ফলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
খাদ্যের উৎস
সবুজ শাকসবজি, মাছ, বাদাম, সূর্যমুখী তেল, বিভিন্ন ধরনের মরিচ ইত্যাদি।
ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট চার্ট
আপনি কি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েটে নিচের খাবার গুলো থাকা উচিত।
- এভোকাডোস
- মাছ
- সবুজ শাক
- লেবুস বীজ
- বাদাম এবং
- বাদাম মাখন
- শস্য দানা
- পূর্ণ চর্বিযুক্ত খাদ্য
- ফল
আদর্শ ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট
আপনাকে আদর্শ ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হল
সকালে প্রথমঃ দুটি সিদ্ধ ডিম বা কলা, এক গ্লাস দুধ, এবং ১০ গ্রাম বা ৬ -৭ টুকরো ভেজানো বাদাম।
মধ্য সকালঃ শুকনো ফল, ৩- ৪ টুকরো চেনা বাদাম মধ্য সকালে নাস্তার জন্য উপযুক্ত। এছাড়াও এক মুঠো ভাজা বাদাম, এক কাপ লস্যি।
মধ্যাহভোজনঃ এক কাপ ডাল, এক কাপ ভাত, এবং এক কাপ মুরগির সুপ এছাড়াও মুরগির ব্রেস্ট বা মাছ দুটি মাঝারি চাপাতি, দু কাপ আপনার পছন্দের সবজি।
সন্ধ্যাঃ মটর এবং আলু দিয়ে মাখন, নাচনি চিল্লা ২-৩ টি এক কাপ কফি চিনা বাদাম।
মধ্য সন্ধ্যাঃ এক মুঠো ভাজা বাদাম ও ৩-৪ টি চিনা বাদাম, শুকনো ফল।
রাতের খাবারঃ মিশ্র সালাত এবং চিকেন ব্রেস্ট, একবাটি মিশ্র সবজি, বা মুরগির সুপ, দুটি মাঝারি চাপাতি, দু কাপ সবজি, এক কাপ ডাল, এক কাপ চাল।
গভীর রাতঃ এক গ্লাস দুধে দুটি কল ও অর্গানিক হলুদ।
দ্রুত ওজন বাড়াতে কিসমিসের উপকারিতাস
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায়, দ্রুত ওজন বাড়াতে কিসমিস এর উপকারিতা অনেক এটি শুধু একবার খাবারের উপনির্বশীল নয়। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ একটি সুস্থ সুষম খাদ্যাভাস বজায় রেখে ওজন বাড়ানো সম্ভব। কারণ কিসমিসের ক্যালরি প্রচুর পরিমাণে, ফাইবার বিভিন্ন ধরনের পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব উপাদানগুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কিসমিসে বেশি ক্যালরি থাকার কারণে শরীরকে শক্তি দেয় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
কিসমিসে রয়েছে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে এবং আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে এবং ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ইত্যাদি যা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ
যদি দ্রুত মোটা হতে চান তাহলে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ মেনে চলুন যেমন
- প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করবেন। আর খাওয়ার আগে পানি পান করবেন না।
- প্রোটিন যুক্ত খাবার আগে গ্রহণ করেন পরে শাক সবজি।
- প্রতিদিন আপনি ঘুমানোর আগে একটা স্বাস্থ্যকর ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- আপনি প্রতিদিন বড় থালায় ভাত খাবেন।
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ধূমপান বর্জন করতে হবে।
মন্তব্য: দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার দারুণ কিছু উপায়
পরিশেষে বলা যায় যে, ওজন এমন একটি বিষয় যা বেশি হলে সমস্যা আবার কম হলেও সমস্যা। প্রত্যেক মানুষের একটি আদর্শ ওজন থাকে যা তার বয়স এবং হাইট অনুযায়ী হয়। এই আদর্শ ওজন মেন্টেন করা সবার জন্য একটি স্বাভাবিকের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকি, কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হওয়ায় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায় আমার মতে দ্রুত ওজন বাড়ানো কোন ম্যাজিক নয়। এটি নিয়মিত খাওয়া ঘুম ব্যায়াম ধৈর্য সবকিছু মিলিয়ে ফল পাওয়া যায়। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু বেশি খেয়ে নয় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে, পুষ্টিকর খাবার সঠিক নিয়ম খাদ্যাভাস গ্রহণ করলে ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবে বাড়ানো সম্ভব। আপনি যদি নিয়ম মেনে ব্যায়াম খাবার গ্রহণ করে থাকেন তাহলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি পাবে। আর যদি সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url