ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহারের ফলাফল ও অপকারিতা

 ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহারের ফলাফল ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে থানকুনি পাতার ব্যাপার সম্পর্কে জানতে পারবেন।


ত্বকের-যত্নে-থানকুনি-পাতার-ব্যবহার

  

প্রাচীন কাল থেকে থানকুনি পাতা প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ যা ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থানকুনি পাতায় প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা ত্বক সুস্থতা রক্ষায় বেশ কার্যকরী উপাদান। 

সূচিপত্রঃ ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার

ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার 

ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ অবগত ছিলেন। আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরে সৌন্দর্য হিসাবে দেখা দেয়। এই পাতা ত্বকের যত্নে ও চুলের যত্নে ব্যবহারে বেশ কার্যকরী উপাদান। থানকুনি পাতা প্রাচীনকাল হতে রুপ চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

বিশ্বখ্যাত প্রসাধনী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিউটি ক্রিমে থানকুনি পাতার ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও থানকুনি পাতা আমাদের নানারকম সমস্যা সমাধান করে থাকে যেমন অনিদ্রাদর করে চুল গজাতে সাহায্য করে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে ত্বকের দাগ  ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। 

ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহারের উপকারিতা

ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ অবগত ছিলেন। আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরে সৌন্দর্য হিসাবে দেখা দেয়। এই পাতা ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকরী উপাদান। থানকুনি পাতা প্রাচীনকাল হতে রুপ চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

রূপ চর্চায় থানকুনি পাতা 

থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর উচ্চমানের অ্যামাইনো এসিড। এই পাতা সৌন্দর্যপূর্ণ ক্লান্ত ভাব দূর করে আর আমাদের ত্বকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত করে তুলে। থানকুনির পাতার উপাদান ড্রোনের বিস্তৃতি কমায়। 

ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে 

থানকুনি পাতা ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ভেতর থেকে ঠান্ডা প্রশান্ত করে এবং এতে ত্বকে সতেজতা ভাব ফুটে ওঠে।

 ত্বকের আদ্রতা ও কোমলতার বৃদ্ধি করে 

আরো পড়ুনঃ চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার  

থানকুনি পাতা ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে করে ত্বকের বয়সের ছাপ কমায় এবং কমলতা বৃদ্ধি করে।  

ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে 

থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর  এবং সক্রিয় উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে। এতে সূর্যের রশ্মি কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক দূষণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক অকালব বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের বলে রেখা রোধ করতে সাহায্য করে। 

ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ক্ষত দূর 

ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে থানকুনির ম্যাডেকাসসাইড। থানকুনি পাতা ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রেখে ত্বকের ভেতর থেকে ঠান্ডা ও প্রশান্ত করে আর ত্বকের সতেজতা ভাব ফুটে উঠতে সাহায্য করে। 

ব্যবহারবিধি 

থানকুনি পাতা ফেসপ্যাক হিসেবেঃ থানকুনি পাতা ১০ থেকে ১২টি নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। আর তার সাথে ১ টেবিল চামচ গোলাপজল আর ১ চামচ মধু নিচে প্যাক তৈরি করে নিন। এরপরে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

থানকুনি টোনার হিসেবেঃ পাঁচ থেকে দশ মিনিট থানকুনি পাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন এরপরে একটি স্প্রে বোতলে রেখে প্রতিদিন টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। 

অ্যালোভেরা জেল ও থানকুনির মাস্কঃ সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন থানকুনি পাতার পেস্ট এলোভেরা ও জেল মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করু। 

পরামর্শ

 তবে টোনার প্যাচ টি হাতে দিয়ে টেস্ট করে নিন। যদি কারো এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করুন। 

চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা 

থানকুনি পাতা বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ অবগত ছিলেন। আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরে সৌন্দর্য হিসাবে দেখা দেয়। এই পাতা চুলের যত্নে ব্যবহারে বেশ কার্যকরী উপাদান। থানকুনি পাতায় পাওয়া যায় যে সব ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা চুলের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

অনেকের চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। থানকুনি যে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ চুলে সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, মজবুত এবং শক্তিশালী করে আর অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

চুল পড়া রোধ করে 

চুল পড়া রোধ করেঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের ঘোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের গোড়াতে পুষ্টি যোগায় চুল মজবুত হয় আর  অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। 

চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ানে 

চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে থানকুনির পাতা পেস্ট বা রস ব্যবহার করুন। থানকুনি পাতা ব্যবহার চুলের রুক্ষতা রক্ষা করে এবং চুল মসৃণ করে তোলে।

অকালপক্কতা প্রতিরোধ করে 

যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে, তারা অনেকে চুল নিয়ে চিন্তিত।থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান যা চুলের অকালপক্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

চুলে কন্ডিশনার এর কাজ করে 

থানকুনি পাতা চুলে প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনার এর মত কাজ করে থাকে যার ফলে চুল নরম ও ঝলমলে করতে সাহায্য করে। এই পাতা চুলের নষ্ট অংশগুলো সারাতে সাহায্য করে।

নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে 

চুলের ফলিকোন সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে থাকে থানকুনি পাতা, ফলে নতুন চুল বাজাতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতার পেস্ট বা তেল নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করলে পাতলা চুল ঘন হতে শুরু করে।

খুশকি দূর করতে সাহায্য করে 

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল রয়েছে থানকুনি পাতায় যা মাথার ত্বকে জমে থাকা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

চুলে ঠান্ডা অনুভূতি দেয় 

মাথার ত্বকে অতিরিক্ত গরমের ঘাম জমে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় গ্রীষ্মকালে। থানকুনির মাথায় থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে ঠান্ডা অনুভূত হয়।

ব্যবহার পদ্ধতি

পেস্ট আকারেঃ থানকুনি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখুন এরপরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

তেল তৈরি করেঃ থানকুনি পাতা এবং নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল তেলের সাথে জাল দিয়ে তৈরি করা তেল মাথায় মালিশ করুন।

খাওয়ার মাধ্যমেঃ চুলের গোড়ায় ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়, রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

থানকুনি পাতার উপকারিতা 

থানকুনি পাতা বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ অবগত ছিলেন। আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরে সৌন্দর্য হিসাবে দেখা দেয়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। 

১.সমস্যা দূর হবে হজমেরঃ সমস্যা হচ্ছে হজমের? তাহলে আপনি এক চিমটি লবন দিয়ে তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করুন এবং নিয়মিত পান করুন। এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য থানকুনি পাতা অপরিহার্য উপাদান। 

আরো পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

২.লিভার এবং পেট ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যাদের লিভার এবং পেটের সমস্যায় ভুগছেন। তারা প্রতিদিন সকালে একটি পাকা কলার সঙ্গে কিছু থানকুনি পাতা খেতে পারেন। আপনি নিয়মিত খেলে আপনার পেটের স্বাস্থ্য এবং লিভার দুটাই ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩.ক্ষত নিরাময়েঃ থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো ধরনের খাত ও দ্রুত নিরাময়ে। এই পাতায় রয়েছে এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যা ক্ষত সারাতে তাড়াতাড়ি সাহায্য করে। থানকুনি পাতার গুঁড়া দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করুন। এতে করে ক্ষত নিরাময়ের গতি ত্বরান্বিত করে এবং ত্বকের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৪.আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেঃ আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যায় যারা আছেন তাদের জন্য উপকারী হতে পারে থানকুনি পাতা। এ সমস্যা দূর করতে চিকিৎসকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই আপনি কম করে দুটি পাতা হলেও চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।  এই পাতা আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

৫.শ্বাস যন্ত্রের ও কাশি সরাতে কাজ করেঃ থানকুনি পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রের এবং কাশি সরাতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতা তুলসী ও গোলমরিচ দিয়ে খেলে ঠান্ডা এবং জ্বর নিরাময় করে। এছাড়াও গলা ব্যথা এবং কাশি নিরাময়ের জন্য সামান্য চিনির সাথে মিশিয়ে থানকুনি পাতার রস পান করলে সমস্যা দূর হতে সাহায্য করে। এই পাতার রস সপ্তাহে খানেক ধরে খেলে উপকার পাবেন।

৬.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? আপনি নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য থানকুনি পাতা খেতে বলা হয়। থানকুনি পাতা আপনি যদি খাবারের তালিকায় রাখেন তবে আর কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগতে হবে না।

৭.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ থানকুনি পাতা রোগ ক্ষমতায় ভীষণ কার্যকরী উপাদান। থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৮.অনিদ্রা দূর করেঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ করে দেয় আপনাকে অনিদ্রা সমস্যা। এজন্য নিয়মিত ঘুম এবং সুস্থ থাকার জরুরী। থানকুনি পাতা আনিদ্রা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতার অপকারিতা 

থানকুনি পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতা রয়েছে। তাই জেনে নেয়া যাক থানকুনি পাতার অপকারিতা গুলো।

পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে পেট ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়ম জেনে খাবেন।

মাথা ঘোরা সমস্যা দেখা দিতে পারে থানকুনি পাতা প্রয়োজনের বেশি খেলে।

থানকুনি পাতা তারা কোনভাবে খাবেন না, যাদের লিভারের সমস্যা আছে। কারণ এ পাতা খেলে শারীরিক নানা রকম সমস্যায় পড়তে পারেন।

থানকুনি পাতা এমন রোগীদের খাওয়াবেন না যারা অপারেশন করেছে।

এলার্জি, খোশ পাচরা হতে পারে থানকুনি পাতা থেকে। 

থানকুনি পাতা খাওয়ার পদ্ধতি

থানকুনি পাতা গ্রামাঞ্চলে পরিচিত একটি ঔষধি গাছ। এটি প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা নানা গুণে পরিপূর্ণ বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। তাই চলুন থানকুনি পাতা খাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

থানকুনি পাতা দিয়ে ভাজি  

যা যা দিতে হবেঃ থানকুনি পাতা ভাজিতে যা লাগবে, ৩/৪ আটি বা ১০০ গ্রাম থানকুনি পাতা, ১ টি পেঁয়াজ কুচি, ১ টি রসুন কুচি, ২/৩ টি কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও তেল পরিমাণ মতো। 

তৈরি করার নিয়মঃ ভালোভাবে থানকুনি পাতা ধুয়ে কুচি করে নিন। এরপরে পাত্রে তেল দিয়ে, তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ছাড়ুন। তারপরে কাঁচা মরিচ ও রসুন দিয়ে ভাজুন। ফরুন ব্রাউন কালার হয়ে আসলে পাতা কুচি লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন এরপরে ৫/৬ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর নামিয়ে ফেলুন। এভাবে হয়ে যাবে থানকুনি পাতা ভাজি।

থানকুনি পাতা দিয়ে বড়া 

যা যা দিতে হবেঃ থানকুনি পাতা দিয়ে বড়া ভাজবে যা লাগবে, ৩/৪ আটি বা ১০০ গ্রাম থানকুনি পাতা, ২ টি পেঁয়াজ কুচি, ১ টি রসুন কুচি, ২/৩টি কাঁচা মরিচ কুচি, ১ চামচ হলুদ, ১  চামচ মরিচ, ১০০ গ্রাম বেসন, তেল ও লবণ পরিমাণ মতো। 

তৈরির করার নিয়মঃ থানকুনি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুচি করে নিন। এরপরে উপরের উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপরে পাত্রে তেল ঢেলে হালকা আচে ভালোভাবে ভেজে নিন। এরপরে হয়ে যাবে থানকুনি পাতার বড়া।

থানকুনি পাতার-আলু ভর্তা 

যা যা দিতে হবেঃ থানকুনি পাতার-আলু ভর্তা যা লাগবে, ৩/৪ আটি বা ২০০ গ্রাম থানকুনি পাতা, ২ টি পেঁয়াজ কুচি, ১ টি রসুন কুচি, ২/৩টি কাঁচা মরিচ কুচি, আদা কুচি, ১/২ টি আলু সেদ্ধ পরিমাণ মতো লবণ ও সরিষার তেল। 

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার দারুণ কিছু উপায়

তৈরি করার নিয়মঃ ভালোভাবে থানকুনি পাতা ধুয়ে কুচি কুচি করে নিন। এরপরে সেদ্ধ আলু গুলো গলিয়ে নিন। তারপরে থানকুনি পাতা কুচি, পেয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি পরিমাণমত লবণ নিন। এরপরে তেল ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশ করুণ। 

থানকুনি পাতার জুস

যা যা দিতে হবেঃ ৩/৪ আটি বা ১০০ গ্রাম থানকুনি পাতা, ১ চামচ মধু।

তৈরি করার নিয়মঃ থানকুনি পাতা প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে বেটে নিন। তারপরে থানকুনির পাতার রস ছেঁকে নিন। তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নেন, তাহলে হয়ে গেল থানকুনি পাতার জুস।

কেন খাবেন থানকুনি পাতা?

থানকুনি পাতা বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ অবগত ছিলেন। আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরে সৌন্দর্য হিসাবে দেখা দেয়। তবে থানকুনি পাতার আগে খুব কদর ছিল। এই পাতার খুব গুরুত্ব দিতেন বাড়ির বয়স্করা। এই পাতার জুড়ে শেষ নেই শরীর সুস্থ রাখতে। তাই থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে এর উপকারের শেষ করা যাবে। তাহলে কেন থানকুনি পাতা খাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ থানকুনি পাতা রোগ ক্ষমতায় ভীষণ কার্যকরী উপাদান। থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

অনিদ্রা দূর করেঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ করে দেয় আপনাকে অনিদ্রা সমস্যা। এজন্য নিয়মিত ঘুম এবং সুস্থ থাকার জরুরী। থানকুনি পাতা আনিদ্রা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

সমস্যা দূর হবে হজমেরঃ সমস্যা হচ্ছে হজমের? তাহলে আপনি এক চিমটি লবন দিয়ে তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করুন এবং নিয়মিত পান করুন। এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য থানকুনি পাতা অপরিহার্য উপাদান। 

লিভার এবং পেট ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যাদের লিভার এবং পেটের সমস্যায় ভুগছেন। তারা প্রতিদিন সকালে একটি পাকা কলার সঙ্গে কিছু থানকুনি পাতা খেতে পারেন। আপনি নিয়মিত খেলে আপনার পেটের স্বাস্থ্য এবং লিভার দুটাই ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ক্ষত নিরাময়েঃ থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো ধরনের খাত ও দ্রুত নিরাময়ে। এই পাতায় রয়েছে এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যা ক্ষত সারাতে তাড়াতাড়ি সাহায্য করে। থানকুনি পাতার গুঁড়া দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করুন। এতে করে ক্ষত নিরাময়ের গতি ত্বরান্বিত করে এবং ত্বকের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেঃ আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যায় যারা আছেন তাদের জন্য উপকারী হতে পারে থানকুনি পাতা। এ সমস্যা দূর করতে চিকিৎসকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই আপনি কম করে দুটি পাতা হলেও চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।  এই পাতা আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

শ্বাস যন্ত্রের ও কাশি সরাতে কাজ করেঃ থানকুনি পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রের এবং কাশি সরাতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতা তুলসী ও গোলমরিচ দিয়ে খেলে ঠান্ডা এবং জ্বর নিরাময় করে। এছাড়াও গলা ব্যথা এবং কাশি নিরাময়ের জন্য সামান্য চিনির সাথে মিশিয়ে থানকুনি পাতার রস পান করলে সমস্যা দূর হতে সাহায্য করে। এই পাতার রস সপ্তাহে খানেক ধরে খেলে উপকার পাবেন।

চুল পড়া রোধ করেঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের ঘোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের গোড়াতে পুষ্টি যোগায় চুল মজবুত হয় আর  অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। 

রুপ চর্চায় থানকুনি পাতাঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর উচ্চমানের অ্যামাইনো এসিড। এই পাতা সৌন্দর্যপূর্ণ ক্লান্ত ভাব দূর করে আর আমাদের ত্বকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত করে তুলে। থানকুনির পাতার উপাদান ড্রোনের বিস্তৃতি কমায়। 

যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা

সবাই ইদানিং ভেষজ জিনিসে ঝুকছে। এটার কারণ হচ্ছে শরীরের জন্য কৃত্তিম জিনিস একেবারে ভালো নয়। এগুলো হাতের না গেলে অনেক কিছু চোখের পারে এর ব্যবহার বিধি না জানার কারণে তা আমাদের অগোচরে থেকে যায়। তার মধ্যে হচ্ছে থানকুনি পাতা এ পাতা আপনাদের বয়স কমাতে সাহায্য করে। থানকুনি পাতার রস খুব কাজ দেয় যৌবন ধরে রাখতে। 

তাই আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে পাঁচ থেকে ছয় চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে আপনার চেহারা লাবণ্য বাড়াতে সাহায্য করে। আর আপনার অনেক খানি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। থানকুনি পাতা চিকিৎসকের মতে এটি একটি ভেষজ গুনে ভরপুর। এটি নিয়মিত খেলে পেটের অসুখ ভালো হতে সাহায্য করে। 

থানকুনি পাতার বৈশিষ্ট্য

থানকুনি পাতা দেখতে ছোট ছোট এবং রং সবুজ হয়। পাতাগুলো গোল আকৃতির প্রান্ত গুলো খাজ কাটা হয়। এ পাতাগুলোর ছাদ সামান্য তিতা তিতা লাগে এবং হালকা ভেষজ গন্ধ বের হয়। থানকুনি পাতা জন্মায় আদ্র ও ছায়াযুক্ত স্থানে। গ্রীষ্মমন্ডলিয় ও উপ-গ্রীষ্মমন্ডলিয় অঞ্চলে থানকুনি পাতার প্রচুর পাওয়া যায়। 

শেষকথাঃ ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার

পরিশেষে বলা যায় যে, ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার বাংলাদেশ একটি বহুল পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ অবগত ছিলেন। আমাদের সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরে সৌন্দর্য হিসাবে দেখা দেয়। এই পাতা ত্বকের যত্নে ও চুলের যত্নে ব্যবহারে বেশ কার্যকরী উপাদান। থানকুনি পাতা প্রাচীনকাল হতে রুপ চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

এছাড়াও বলা যায় যে, থানকুনি পাতা আমাদের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অনিদ্রা দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ব্যথার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 


 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url