চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম

  চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার ও  বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম, বরই পাতার  অপকারিতা আর বরই পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই আঁটিকেলে জানতে পারবেন।


চুলকানিতে-বরই-পাতার-ব্যবহার


বড়ই পাতা আমাদের শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। এই পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ঔষধি কাজ করে থাকে যা বর্তমান সময়ে বিদ্যমান রয়েছে। তাই বরই পাতা আমাদের কি কাজে লাগে সেই সম্পর্কে জানা যায়। 

সূচিপত্রঃ

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার 

চুলকানি উপশমে একটি প্রাচীন ও কার্যকর প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষধি বরই পাতা। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যায় যেমন চুলকানি, এলার্জি ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা বরই পাতার ব্যবহার করা হয়। বড়ই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই সব উপাদান রয়েছে। এই ভিটামিন গুলো বরই পাতায় থাকে এবং আমাদের ত্বকের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন বরই পাতা আমাদের জন্য কতটা উপকারী। 

চুলকানিতে বরই পাতা ব্যবহার, চুলকানিতে বরই পাতার পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। তাই কয়েকটি তাজা বরই পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও বরই পাতার পানিতে দিয়ে গোসল করা যায়। আর ১ থেকে ২ লিটার ভালো পরিষ্কার পানি এবং এক মুঠো বড়ই পাতা একসাথে নিয়ে দশ মিনিট ফুটাতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।

আরো পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল

এরপরে ঠান্ডা হলে সেই পানি দিয়ে ধুয়ে নিন বা গোসল করে নিন। দিনে একবার ধুলে এই উপকার মিলবে। বরই পাতা ও নিম পাতার মিশ্রণে চুলকানি সংক্রমণ কমানো যায় তাই বড়ই পাতা ও নিমপাতা একসাথে মিশিয়ে জাল করে গোসল করুন তাহলে আপনার চুলকানির কমে যাবে। 

বরই পাতার উপকারিতা

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার বরই পাতা আমাদের শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। এই পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ঔষধি কাজ করে থাকে। তাই বরই পাতার আমাদের কি উপকারে লাগে সেই সম্পর্কে জানা যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ বরই পাতায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইনসুলিন ফাইটো যা সংবেদনশীলতা বাড়তে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বড়ই পাতা ডায়াবেটিস রোগের জন্য অনেক উপকারী এটি দেহের কোষের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা বরই পাতার চা বানিয়ে খেতে পারে এর জন্য কয়েকটি বড়ই পাতা ভালো করে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে পাঁচ দশ মিনিট রেখে পান করা যায়। আবার কেউ তাজা বরই পাতার পেস্ট বানিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

জ্বর ও ঠান্ডা উপশমেঃ বড়ই পাতায় রয়েছে এন্টি পাইরেটিক যা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে থাকে। জ্বর ও ঠান্ডা উপশমে ১০-১২ টি বড়ই পাতা ভালোভাবে ধুয়ে দুই কাপ পানিতে দিয়ে জাল করে নিতে হবে। এই পানি অর্ধেক হওয়া পর্যন্ত জাল করতে হবে। তারপরে পানিটুকু ছেঁকে নিতে হবে হালদার কুসুম গরম অবস্থায় থাকায় খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে তবে এক থেকে দুইবার খাওয়া যাবে  এবং জ্বর ঠান্ডা কমে যাবে। ঠান্ডা ও জ্বর বেশি দিনের হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

চুলের যত্নে বরই পাতাঃ বরই পাতাই এন্টি এক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে যার চুলের যত্নে খুবই উপযোগী। তাজা বরই পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পেস্ট করে চুলে ঘোড়াতে ত্রিশ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এরপর ধুয়ে নিতে হবে এতে করে চুল ঘন এবং মজবুত হবে। এছাড়াও শুকনো বরই পাতা গুড়া করে তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে যে ফেলতে হবে। এতে করে আপনার চুল ঘন এবং মজবুত হবে।


চুলকানিতে-বরই-পাতার-ব্যবহার


ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানায়ঃ প্রাচীনকাল থাকে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানায় ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বরই পারই। বরই পাতায় রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া গুন ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানায় কাজ করে থাকে। তাই  তাজা বরই পাতা ১০ থেকে ১২ টি নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে দুই কাপ পানির সাথে জাল করতে হবে এই পানি অর্ধেক হয়ে আসলে ছেকে নিতে হবে এবং সকালে আর বিকালে এক কাপ করে খেতে হবে তাহলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। তবে কারো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম

বরই পাতা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যায় দিনে চার থেকে পাঁচটি তাজা বরই পাতা ভালোভাবে ধুয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় চিবিয়ে খাওয়া যায় এতে হজম শক্তি বাড়ে এবং মুখে দুর্গন্ধ কমে। এছাড়া বরই পাতার রস খাওয়া যায় কয়েকটি তাজা পাতা সুন্দর করে ধুয়ে পেস্ট করে খালি পেটে এক থেকে দুই চামচ রস বা তার সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে গর্ভবতী বা শিশুদের জন্য বড়ই পাতার রস খাওয়া থেকে এড়াতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ মেহেগনি গাছের বীজের উপকারিতা

বরই পাতার রস রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতার বৃদ্ধি করে। বরই পাতার চা করে খেতে পারেন তাজা বরই পাতা ৮ থেকে ১০ টি ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানির সাথে জ্বাল করতে হবে এবং এই পানি অর্ধেক হয়ে গেলে চা  করে খেতে পারবেন। এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে থাকে। তাই বরই পাতার খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ জেনে খাবেন।

বরই পাতার রস খাওয়ার নিয়ম 

প্রাচীন কাল থেকে বরই পাতার রস খাওয়ার একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। বরই পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে যা বিশেষ ভাবে কাজ করে তা হচ্ছে হজম শক্তি বাড়ানো সর্দি-কাশি উপসং মুখে ঘা ও দাঁতের সমস্যা নিরাময়ের ব্যবহৃত হয়। বরই পাতা রস খাওয়ার জন্য ৫ থেকে ১০ টি তাজা বরই পাতা নিতে হবে, এই পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন এরপরে পাতাগুলো পেষে নিতে হবে।তারপরে পেষা পাতাগুলো রস বের করে নিতে হবে আর রস ঝাঁকুনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে এবং এগুলো অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারবেন। 

বরই পাতার রস দিনে ১ বার খেতে পারবেন। তবে ৭ থেকে ১০ দিন এর বেশি খাওয়া যাবে না এতে বিরোতি নিতে হবে। বড়ই পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি উন্নতি করে কাছে সর্দি গলা ব্যথা কমায় দাঁতের সমস্যা। তবে গর্ভবতী এবং শিশুদের খাওয়ানো থেকে বিরত  থাকবেন। আর বরই পাতা রস বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তা না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অম্বল সৃষ্টি হতে পারে। তাই বরই পাতার রস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ জেনে খাবেন।

বরই পাতার রসের উপকারিতা

আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন ধরে বরই পাতার রস। বরই পাতা ভেষজ উদ্ভিদ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বরই পাতার রসের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

চুলের যত্নেঃ মাথা বড়ই পাতা রস দিয়ে মেসেজ করলে খুশকি কমে এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ আসে চুল   মজবুত হয়। আর চুলের ঘোকে শক্তিশালী করে তোলে এবং চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে। 

মাড়ীর সমস্যা ও মুখের ঘা দূর করেঃ বরই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিভ গুণ। বরই পাতার রস মুখে কুলি করে ব্যবহার করলে মাড়ির সমস্যা দূর হয় এবং মুখের ঘা ও রক্ত পড়া বন্ধ করে।

কাশি ও সর্দি উপশমেঃ  বরই  পাতা রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি ও সর্দি উপশম করে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 

এলার্জি ও চর্ম রোগেঃ এলার্জি ও চর্মরোগে বরই পাতার রস করে আক্রান্ত স্থানে দিলে তাড়াতাড়ি ভালো করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ বরই পাতার রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে  বরই  পাতার রস খাবেন।

বরই পাতার বৈশিষ্ট্য

বরই গাছ সাধারণত লম্বা মাঝারি এবং খাটো হয়ে থাকে, বরই পাতা ডিম্বাকার পাতার কিনারাগুলো কিছুটা খাচ কাটা এবং প্রান্তটা মসৃণ হয়। বরই পাতা দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এই পাতাগুলো ডালের ডালের বিপরীতে অবস্থান করে, এই পাতার রং গাঢ় সবুজ এবং এ পাতার একটি প্রধান শিরা রয়েছে যা অন্য শিরাগুলো এই শিরা উপর নির্ভরশীল। বরই পাতা আমাদের শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। 

এই পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ঔষধি কাজ করে থাকে যা বর্তমান সময়ে বিদ্যমান রয়েছে। বরই পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা কাজে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকরী উপাদান। বরই পাতা চুলের যত্নে বেস কার্যকরী চুলে বরই পাতা পিষিয়ে লাগালে চুল মজবুত এবং ঘন হয়।

বরই পাতার ব্যবহার 

চুলকানি ও চর্ম রোগেঃ চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার, চুলকানিতে বরই পাতার পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। তাই কয়েকটি তাজা বরই পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও বরই পাতার পানিতে দিয়ে গোসল করা যায়। আর যেভাবে ব্যবহার করবেন ১ থেকে ২ লিটার ভালো পরিষ্কার পানি এবং এক মুঠো বড়ই পাতা একসাথে নিয়ে দশ মিনিট ফুটাতে হবে। 

ফোড়া বা ঘাঃ বরই পাতা একটি কার্যকরী উপাদান। ফোড়া বা ঘায়ে বরই পাতা বেটে লাগালে ব্যথা ফোলা ভাব কমে যায়। আর ঘা শুকাতে সাহায্য করে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ বরই পাতায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইনসুলিন ফাইটো যা সংবেদনশীলতা বাড়তে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বড়ই পাতা ডায়াবেটিস রোগের জন্য অনেক উপকারী এটি দেহের কোষের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা বরই পাতার চা বানিয়ে খেতে পারে এর জন্য কয়েকটি বড়ই পাতা ভালো করে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে পাঁচ দশ মিনিট রেখে পান করা যায়। আবার কেউ তাজা বরই পাতার পেস্ট বানিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।


চুলকানিতে-বরই-পাতার-ব্যবহার


জ্বর ও ঠান্ডা উপশমেঃ বড়ই পাতায় রয়েছে এন্টি পাইরেটিক যা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে থাকে। জ্বর ও ঠান্ডা উপশমে ১০-১২ টি বড়ই পাতা ভালোভাবে ধুয়ে দুই কাপ পানিতে দিয়ে জাল করে নিতে হবে। এই পানি অর্ধেক হওয়া পর্যন্ত জাল করতে হবে। তারপরে পানিটুকু ছেঁকে নিতে হবে হালদার কুসুম গরম অবস্থায় থাকায় খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে তবে এক থেকে দুইবার খাওয়া যাবে  এবং জ্বর ঠান্ডা কমে যাবে। জ্বর ঠান্ডা বেশি দিনের হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

বরই পাতার অপকারিতা

প্রাচীন কাল হতে বরই পাতা আয়ুর্বেদিক এবং লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত করে আসছে। নানা উপকারিতা থাকলেও এই পাতার অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে এই পাতা ভুলভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করে। এই পাতা অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে সমস্যা পড়তে হয়। 

পেটের সমস্যাঃ বরই পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেট ব্যথা, বদহজম, গ্যাস, ডায়রিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি

ওষুধের সাথে পার্থক প্রতিক্রিয়াঃ বরই পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর কিছু ওষুধের সাথে এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

কিডনি বা লিভারের রোগের ঝুকিঃ বরই পাতা দীর্ঘমেয়াদি ও অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে কিডনি বা লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে কিডনি বা লিভারের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এলার্জিঃ কারো কারো শরীরে বরই পাতার ব্যবহারের মাধ্যমে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

 বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে কি হয়?

 বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে কি হয়? প্রচলিত লোকজ চিকিৎসায় বরই পাতা দিয়ে গোসল করার কিছু উপকারিতা রয়েছে। তা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় তারপরে কিছু বিশ্বাস ও সম্ভাবনার নিয়ে  বরই পাতা দিয়ে গোসল করার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

গরমকালে বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল করলে ঠান্ডা অনুভব হয় এবং দেহ শীতল রাখে। বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল করলে নেগেটিভ চিন্তাধারা দূর হয়। এছাড়াও বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে চুলের গোড়া জীবাণু প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং খুশকি সমস্যা কমে যায়। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গালগঞ্জ থাকতে পারে বলে মনে করা হয়  বরই পাতাই। 

তাই বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করলে চুলকানি একজিমা এবং ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তবে বড়ই পাতার পানি ব্যবহারের জন্য তাজা বরই পাতা থেঁতো করে গরম পানিতে জাল করতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে গোসলের পানিতে  দিয়ে গোসল করতে হবে। 

প্রতিদিন বরই খাওয়া যাবে কি?

প্রতিদিন বরই খাওয়া যাবে কি? হ্যাঁ প্রতিদিন বরই খাওয়া যাবে, বরইতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কম ক্যালরি। বরই ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোর্সগুলো সুরক্ষা করে থাকে, বড়ই হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও কম ক্যালরি থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। চার থেকে পাঁচটি মাঝারি সাইজের বরই প্রতিদিন খেতে পারবেন তবে যদি আপনার কোন সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বড়ই খাবেন।

মন্তব্যঃ চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার

পরিশেষে বলা যায় যে, চুলকানি উপশমে একটি প্রাচীন ও কার্যকর প্রাকৃতিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত বরই পাতার ব্যবহার। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যায় যেমন চুলকানি, এলার্জি ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা বরই পাতার ব্যবহার করা হয়। বড়ই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই সব উপাদান রয়েছে। এই ভিটামিন গুলো বরই পাতায় থাকে এবং আমাদের ত্বকের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে থাকে।

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার। বরই পাতার উপকারিতা শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। এই পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ঔষধি কাজ করে থাকে যা বর্তমান সময়ে বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও বরই পাতায় অনেক অপকারিতা রয়েছে সেগুলো জেনে বরই পাতা ব্যবহার করতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url