তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল রাতারাতি কাজ করে
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডালের রাতারাতির কার্যকরী উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কিভাবে মসুর ডাল ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়?
মসুর ডালে রয়েছে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর
করে এবং ত্বকের উজ্জ্বল ও কমল করতে সাহায্য করে। মসুর ডাল প্রাকৃতিক এবং
কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে।
সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল
- তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল
- কিভাবে ত্বকের যত্ন নিলে তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে?
- ত্বকের যত্নে মসুর ডালের উপকারিতা
- তৈলাক্ত ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে মসুর ডাল
- তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ফেসওয়াস হিসেবে ব্যবহার
- তৈলাক্ত ত্বকের মসুর ডাল ফেস হেয়ার পরিষ্কার
- ড্রাই ত্বকের যত্নে মসুরের ডাল
- মসুর ডাল মৃত কোষের স্তর সরিয়ে ফেলে
- মসুর ডাল ত্বকের আদ্রতার ঘাটতি দূর করে
- তৈলাক্ত ত্বককে মসুর ডাল নিমিষে সুন্দর করে তুলে
- কিভাবে মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা করা যায়?
- মুখের কালো ও ছোপদাগ দূর করার উপায়
- তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডালের অপকারিতা
- মন্তব্যঃ তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল রাতারাতি কাজ করে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় অনেকের মুখে যার ফলে নানা রকম সমস্যা দেখে দিতে পারে যেমন মুখে পিম্পলে পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর মেকআপ করলে বেশিক্ষণ থাকে না তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও মুখের জেল্লা কমে যায়। এইসব সমস্যা দূর করতে মসুর ডালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর মসুর ডালে অনেক রকম ভিটামিন রয়েছে যা তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে।
মসুর ডালে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ডায়াটারি, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, থায়ামিন, এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। মসুর ডালের এই ভিটামিন গুলো আমাদের ত্বক থেকে ক্ষতিকার পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। মসুর ডালের এসব ভিটামিন গুলোর ফলে তৈলাক্ত ত্বক দূরত্ব সুন্দর হয়ে ওঠে। কিভাবে যত্ন নিলে তৈলাক্ত ত্বক ভাব কমে সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
কিভাবে ত্বকের যত্ন নিলে তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে?
অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় অনেকের মুখে যার ফলে নানা রকম সমস্যা দেখে দিতে পারে যেমন মুখে পিম্পলে পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর মেকআপ করলে বেশিক্ষণ থাকে না তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও মুখের জেল্লা কমে যায়। তাই ঘরে বসে ঘরোয়া ভাবে অল্প উপাদান ব্যবহার করে এর সমাধান পাওয়া যায়।
উপকরণ
১ চা চামচ মসুর ডালের গুড়া
১/২ চা চামচ মুলতানি মাটি
১ চা চামচ গোলাপ জল
ব্যবহারের নিয়ম
মুলতানি মাটি, গোলাপজল, ডালের গুড়া এগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে
পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর মুখমন্ডল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে পরিষ্কার
করার পরে পেস্ট করা প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে
রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে নরমাল
পানি দিয়ে। আস্তে আস্তে তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে এবং মুখটা ফ্রেশ
লাগবে।
ত্বকের যত্নে মসুর ডালের উপকারিতা
এ কথা তো সবারই জানা মসুর ডাল দিয়ে মজার সব খাবার তৈরি করা যায়। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে আমাদের ত্বকের জন্য মসুর ডাল কতটা উপকারী এ কথা কি সবার জানা আছে? মসুর ডালে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ডায়াটারি, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, থায়ামিন,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। মসুর ডালের এই ভিটামিন গুলো আমাদের ত্বক থেকে ক্ষতিকার পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।
মসুর ডালের এসব ভিটামিন গুলোর ফলে তৈলাক্ত ত্বক দূরত্ব সুন্দর হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে মসুর ডাল ত্বকের প্রোটিন ঘাটতি পূরণ করে। আর ত্বকের কোনলতা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে থাকে এবং ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে মসুর ডালের উপকারিতা সম্পর্কে
তৈলাক্ত ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে মসুর ডাল
এমনটা কে না চায় অল্প সময়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক? তাই ত্বকের যত্নে মসুর ডাল কে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। তাই পানিতে ৫০ গ্রাম মসুর ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে রাতে এবং পরদিন সকালে উঠে পানি থেকে ছেকে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য মুসুর ডাল
ডালের পেস্ট এর সঙ্গে এক চামচ কাঁচা দুধ এবং পরিমাণ মতো বাদাম তেল মিশিয়ে
নিতে হবে। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে 15 থেকে 20 মিনিট। তারপর উষ্ণ গরম
পানিতে মুখ ধুতে হবে, এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে তাকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে
বেশি সময় লাগবে না।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ফেসওয়াস হিসেবে ব্যবহার
আমাদের বাসার বাইরে বেশি সময় ধরে কাটাতে হয় নানান কাজের সারাদিন। যার ফলে ত্বক নষ্ট হতে বেশি সময় লাগে না পরিবেশ দূষণের কারণে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য দিনশেষে রাতে মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্নে টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশ দূষণ থেকে আপনার ত্বকে ক্ষতি হওয়া থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
সেজন্য প্রয়োজন ১ চামচ বাটা মসুর ডাল এবং তার সাথে দুই চামচ দুধ আর অল্প
পরিমাণে হলুদ এগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
তারপরে এ পেস্ট ভালোভাবে মুখে মেখে নিতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালোভাবে শুকিয়ে
নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে বুঝতে পারছেন এ ফেসওয়াস তৈলাক্ত
ত্বকের যত্নে ভালোভাবে কাজ করবে এবং এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
পাবে এবং ত্বক মসৃণ হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের মসুর ডাল ফেস হেয়ার পরিষ্কার
অনেক মহিলার তৈলাক্ত ত্বকের কারণে মুখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এরমধ্য হচ্ছে মহিলাদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে এক চামচ মসুর ডালের গুড়া এবং তার সাথে এক চামচ চালের গুড়া একসাথে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে হবে ফেসপ্যাক। তারপর এই ফেসপ্যাকটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে এবং পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে।
তাহলে আপনার আস্তে আস্তে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং কোমলতা ও মসৃণ হবে। আর আপনার মুখের অবাঞ্ছিত লোমগুলো ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। আপনি যদি এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।
ড্রাই ত্বকের যত্নে মসুরের ডাল
ড্রাই ত্বকের যত্নে মসুরের ডাল কার্যকরী উপাদান ও প্রাকৃতিক হিসেবে কাজ করে থাকে। মসুর ডালে রয়েছে মিনারেল ভিটামিন এবং এক্সফোলিয়েটিং উপাদান রয়েছে মসুর ডালে। ড্রাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কিছু উপকরণ প্রয়োজন। তা হল মসুর ডাল বাটা এক টেবিল চামচ কমলা লেবুর খোসার গুড়ো এক চামচ দই দুই চামচ এইসব উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মসুর ডাল রূপচর্চায় অতুলনীয়
তারপরে মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং টানটান হবে আর মরা কোষগুলো দূর হবে। এইভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মুখে ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনার এই সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে।
মসুর ডাল মৃত কোষের স্তর সরিয়ে ফেলে
ত্বকের ওপরে অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরিয়ে ফেলে ত্বককে করে তোলে প্রাণবন্তন মসুর ডালের ফেসপ্যাক। এই ফেসপ্যাক এর বিকল্প শেষ নেই, এই ফেসপ্যাক বানাতে প্রয়োজন মসুর ডালের গুড়া এক চামচ গোলাপ জল এক চামচ বাদ দই একসাথে মিশিয়ে মুখে দিতে হবে।
তারপরে পাঁচ থেকে দশ মিনিট মুখে রাখতে হবে এরপর মুখ হালকা করে হাত দিয়ে ঘষে তুলে ফেলতে হবে।আপনি যদি এভাবে নিয়মিত করে মুখে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখের মৃত কোষের স্তর গুলো সরে যাবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি পাবে।
মসুর ডাল ত্বকের আদ্রতার ঘাটতি দূর করে
অনেকের ত্বক বেজায় শুষ্ক থাকে কি? মুখে বলে রেখে দেইখা শুরু করেছেন নাকি? তাহলে আপনারা সময় নষ্ট না করে মসুর ডালের ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। ফেসপ্যাক বানাতে প্রয়োজন এক চামচ মসুর ডালের পেস্ট এবং তার সাথে এক চামচ মধু । মধু এবং মসুর ডালের পেস্ট একসাথে মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। এরপরে মুখ হালকা করে হাত দিয়ে ১৫ মিনিট আস্তে আস্তে ঘোষতে হবে।
আরো করুনঃ মসুর ডাল দিয়ে মুখের কালো
এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এত করে
আপনার ত্বকের আদ্রতার ঘাটতি দূর হবে এবং আপনার তত্ত্বের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি পাবে
এবং কমলতা হবে। তাই আপনাকে নিয়মিতভাবে ফেসপ্যাক মুখে ব্যবহার করতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বককে মসুর ডাল নিমিষে সুন্দর করে তুলে
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল অত্যন্ত একটি উপকারী উপাদান। এটি প্রাকৃতিক ক্লিনেজার হিসেবে কাজ করে থাকে। আর ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে থাকে এবং রোম ছিদ্র বন্ধ করে আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আর এই ফেসপ্যাক তৈরি করতে লাগবে মসুর ডাল গুড়া 2 টেবিল চামচ, কাঁচা দুধ বা দই এক চামচ তেল নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে, মধু ১/২ চামচ লেবুর রস দুই থেকে তিন ফোঁটা।
একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে তারপর পরিষ্কার মুখে এ ফেসপ্যাকটি মুখে 15 থেকে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে অতি দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এই ফেসপ্যাকটি আরো উপকারিতা হচ্ছে অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে সাহায্য করে, রোম ছিদ্র ছোট করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং কমলতা বাড়ায়। আর ত্বকের মৃত্যু কোষ সরিয়ে মসৃণ করে ও কমলতা বৃদ্ধি করে।
কিভাবে মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা করা যায়?
মসুর ডাল রূপচর্চায় অতুলনীয়। মসুর ডালের সাথে আরো অন্যান্য উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে মাখা যায়। এই পেস্ট মুখে ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং তার সাথে ত্বক মসৃণ হয়। তবে এই পেস্ট মুখে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে হবে তাহলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। এই পেস্ট তৈরি করতে উপকরণ লাগবে মসুর ডালের গুড়া এবং এর সাথে শসার রস।
মসুর ডালের গুড়া এবং শসার রস একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে। এতে করে আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে আর আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক মসৃণ হবে। তবে এই পেস্ট নিয়মিত ভাবে মুখে ব্যবহার করলে অতি দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তাই এই পেস্ট মুখে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করবেন।
মুখের কালো ও ছোপদাগ দূর করার উপায়
মসুর ডাল দিয়ে মুখের কালো ও ছোপদাগ দূর করা এটা একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এবং প্রাকৃতিক কার্যকরী উপাদান। মুসুর ডালের ঘরোয়া পদ্ধতির উপাদানটি মুখে ব্যবহারের মাধ্যমে কালো দাগ হালকা হয়। আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রাণ রঞ্জন ফিরে পাই। এই ফেসপ্যাক তৈরি করতে কিছু উপকরণ লাগবে তা হল মসুর ডাল দুই চামচ, দুধ বা দই এক চামচ, হলুদ এক চিমটি, মধুর সামান্য।
সারারাত মসুর ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে এসব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই ফেসপ্যাক মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট শুকিয়ে নিতে হবে। এরপরে হাত দিয়ে হালকা করে মেসেজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এত করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তবে ফেসপ্যাক টি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডালের অপকারিতা
1.কখনোই মুখে অবার ট্রাই করবেন না মসুর ডালে ফেসপ্যাক। অভার ড্রাই ব্যবহার মুখের
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
2.যদি কারো এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারের
মাধ্যমে মুখে জ্বালাপোড়া করতে পারে।
3.মুখ থেকে ফেসপ্যাক উঠানোর সময় বেশি ডলাডলি করা যাবে না এতে করে ত্বকের সমস্যা
সৃষ্টি হতে পারে।
4.মসুর ডালের ফেসপ্যাক বানানোর সময় ত্বকের ধরন জেনে সে অনুযায়ী ফেসপ্যাক
বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মন্তব্যঃ তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল অতি দূরত্বের কাজ করে। মসুর ডালে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ডায়াটারি, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, থায়ামিন,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। মসুর ডালের এই ভিটামিন গুলো আমাদের ত্বক থেকে ক্ষতিকার পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।
মসুর ডালের এসব ভিটামিন গুলোর ফলে তৈলাক্ত ত্বক তাড়াতাড়ি সুন্দর হয়ে ওঠে। আরো বলা যায় যে মসুর ডাল দিয়ে ঘরোয়া ভাবে ত্বকের রূপ চর্চা করা যায়। যা বর্তমান সময়ে ত্বকের নানা রকম সমস্যা দূর করে থাকে। মসুর ডাল যা যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিতভাবে মুসুর ডালের পেস্ট মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url