IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, স্কলারশিপ IELTS ছাড়া

IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ সম্পর্কে জানতে চান। আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেল বেশ উপকারী হবে। আপনাদের সাথে  Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়ে আলোচনা করব।

IELTS-ছাড়া-ইউরোপের-কোন

বাইরের দেশে পড়তে গেলে স্কলারশিপ নিয়ে IELTS এর স্কোর কম করে ৬ থাকতে হবে। এই স্কোর উঠাতে অনেকেই হিমশিম খেতে হয়। স্টুডেন্ট ভিসার অনেক চাহিদা রয়েছে IELTS ছাড়া। 

সূচিপত্রঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় 

IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় 

IELTS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, International English Language Testing System. IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ইউরোপের কিছু দেশ যেতে হলে এবং সেখানে কাজ করতে বা পড়াশোনা কড়তে গেলে কিছু নির্দিষ্ট অপশন রয়েছে। IELTS স্কোর ছাড়াই গ্রহণ করতে পারে অনেক দেশে আছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়। IELTS দরকার হয় না সে সব ইউরোপের দেশগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।

 আরো জানতে পারবেন ইউরোপের কোন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়।আর কোন দেশে্র সহজে ভিসা পাওয়া যায়। সরকারিভাবে আই এল টি এস স্কলারশিপ নিয়ে কোন দেশে যাওয়া যায়? কত খরচ হয় ইউরোপের কোন দেশে যেতে এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলে।

ইউরোপের যেসব দেশে আই ইএলটিএস ছাড়া যাওয়া যায়

আপনি ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন IELTS ছাড়া। সেই সব দেশে পড়াশুনা করার জন্য হোক বা কাজ করার জন্য হোক কোনো প্রকার IELTS প্রয়োজন পড়ে না। লেখাপড়া করার জন্য আপনি যদি অন্য দেশে যেতে চান এবং IELTS স্কোর ভালো না হয়। তাহলে আপনি ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারেন IELTS ছাড়া। ইউরোপের যেসব দেশে আই ইএলটিএস ছাড়া যাওয়া যায় সেই সব দেশগুলোর নাম হলো। 

  • জাপান 
  • থাইল্যান্ড 
  • সুইডেন 
  • মালটা 
  • কানাডা 
  • ভিয়েতনাম 
  • গ্রিস 
  • সুইজারল্যান্ড 
  • ফ্রান্স 
  • ইতালি 
  • পর্তুগাল 
  • রোমানিয়া 
  • নরওয়ে 
  • স্পেন 
  • ক্রোয়েশিয়া 
  • বুলগেরিয়া 
  • ডেনমার্ক 
  • ফিনল্যান্ড 
  • নেদারল্যান্ড 
  • পোল্যান্ড

IELTS ছাড়া আপনারা যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক। আপনারা উপরের এসব দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন কারণ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠান আছে এই দেশগুলোতে। সেই সব শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিয়ে থাকে যাদের IELTS নেই। যদি আপনি এসব দেশে যেতে চান তাহলে আপনার কোন প্রকার IELTS লাগবেনা।

ইউরোপের কোন কোন দেশে কম খরচে যাওয়া যায়

আপনি কি ইউরোপের যেকোন দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই খরচ সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের অনেক মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে বিদেশে যাওয়ার জন্য স্বপ্ন হিসেবে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, জীবিকা নির্বাহ এবং সেখানে ঘুরে বেড়ানো অনেক ভালো। তাই ইউরোপে যেসব দেশে যেতে কম খরচ হয় সেসব দেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

পর্তুগালঃ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম রাষ্ট্র হল পর্তুগাল। অনেক শ্রমিক ও শিক্ষার্থী প্রতিবছর যায় পর্তুগালে। পর্তুগালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়া অনেকটা কঠিন। তবে অনেক চেষ্টার ফলে পর্তুগালে পাড়ি জমানো যায়। পর্তুগালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে চারটি ভিসা চালু আছে। তবে অনেকেই পর্তুগালে যাওয়ার জন্য কাজ করা এবং পড়াশোনা করার বিষয় আবেদন করে থাকে তবে এই দুইটা ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে পর্তুগালে নাগরিত্ব পাওয়া সবচেয়ে সহজ, অধিবাসীদের স্বর্গ বলা হয় পর্তুগালকে। 

ফ্রান্সঃ অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত দেশ হচ্ছে ফ্রান্স। ট্রান্স শ্রমিক শক্তি নিয়োগ করে থাকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ফ্রান্সে যেতে বাংলাদেশ থেকে কত টাকা খরচ হয় তা মূলত ভিসা ক্যাটাগরি উপর নির্ভর করে তবে টুরিস্ট ভিসাইএকটু কম খরচ হয়, আর স্টুডেন্ট ভিসায় একটু বেশি খরচ হয়। তবে অবশ্যই ফ্রান্সে টাকা ইনকাম করার জন্য দক্ষতা অর্জন করে যেতে হবে এবং দক্ষতা না থাকলেও টাকা উপার্জন করা যায়।

সুইজারল্যান্ডঃ ইউরোপ মহাদেশের হৃৎপিণ্ড বলা হয় সুইজারল্যান্ডকে। আপনাকে বিমোহিত করবেই সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য। ইউরোপের সুইজারল্যান্ডে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ করার জন্য যায়।বাংলাদেশ থেকে সহজে পাওয়া যায় এবং খরচ অন্যান্য দেশের থেকে তুলনামূলক কম সুইজারল্যান্ডের ভিজিটিং ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা। উন্নত জীবনযাপনের জন্য এবং কর্মসংস্থানের জন্য একটি দেশ হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া অনেকটা জটিল হয়ে পড়ে বাংলাদেশ থেকে। 

পোল্যান্ডঃ ইউরোপের একটি সুন্দর ও সাংস্কৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ দেশ পোল্যান্ড। পোল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের পর্যটক কর্মীরা  ও শিক্ষার্থী ভ্রমণ করে থাকে। পোল্যান্ডের জীবন যাত্রার মান উন্নত এবং বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য যা অনেকেই আকৃষ্ট হয় এ দেশটির প্রতি। পোল্যান্টে খরচ তুলনামূলক তাই এদেশে অনেকে যায় ভ্রমণে। ভ্রমণের জন্য ভিসার খরচ কত ভাবে তা নির্ভর করে কতদিন থাকবে আর উপর নির্ধারণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা

রোমানিয়াঃ ইউরোপ দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ মানুষের কাছে স্বপ্নের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সহজে ইউরোপ দেশের ভিসা পাওয়া যায় না। তাই ইউরোপ দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতা হতে হয়। ইউরোপের একটি রোমানিয়া উন্নত দেশ। রোমানিয়া  যাওয়া অনেকটা সহজ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায়। রোমানিয়া যার জন্য আপনার ভিসা দরকার, ভিসার খরচ নির্ভর করে আপনি কিভাবে যেতে চান তারপর বিজনেস ভিসা না, স্টুডেন্ট ভিসা না ওয়ার্ক ভিসা। ভিসার একেক রকম খরচ হয়।

বুলগেরিয়াঃ ইউরোপ দেশে বাংলাদেশ থেকে যাওয়াটা অনেক কঠিন কিন্তু অন্যান্য দেশে তুলনায় বুলগেরিয়া যাওয়ার ভিসা পাওয়া খুব সহজ। বুলগেরিয়া যাওয়ার খরচ খুব কম তাই আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ প্রবাসী বুলগারিয়া যাওয়া পছন্দ করে।

সরকারিভাবে যেসব দেশে যাওয়া যায়

সবার মধ্যে বিদেশ যাওয়া স্বপ্ন থাকে কিন্তু সেটা যদি সরকারিভাবে হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। তাই সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে যেসব দেছে ভ্রমণ করতে যাওয়া যায় সেসব দেশের নাম গুলো হল

  • ভারত 
  • লন্ডন 
  • সিঙ্গাপুর 
  • অস্ট্রেলিয়া 
  • কুয়েত 
  • কাতার 
  • সৌদি আরব 
  • দক্ষিণ কোরিয়া 
  • যুক্তরাষ্ট্র 
  • নরওয়ে 
  • বাহারাইন 
  • জরদান 
  • ইতালি 
  • ইরাক 
  • ফ্রান্স 
  • ডেনমার্ক 
  • ফিনল্যান্ড 
  • শ্রীলংকা 
  • চীন 
  • থাইল্যান্ড 
  • জাপান 
  • নিউজিল্যান্ড 
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত 
  • ওমান 
  • মরিসাস 
  • ইরাক 
  • লিবিয়া 
  • ভুটান 
  • নেপাল

এই দেশগুলো ছাড়া আর অন্যান্য দেশে সরকারি ভাবে ভ্রমনে যাওয়াযায়।

স্কলারশিপ IELTS ছাড়া

স্কলারশিপ IELTS ছাড়া পাওয়া যাবে কিনা এসব বিষয়গুলোতে জানতে চান। অবশ্যই স্কলারশিপ পাওয়া যায় আইইএল টিএস ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যায় উচ্চশিক্ষায় জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ভাষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনে। আই ই এল টিএস নামে একটি পরীক্ষা দিতে হয় যা বিশ্ব অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করানো হয় ইংলিশে আর ইংরেজি ভালো করার জন্য। যারা আইইএলটিএস নিয়ে পিছিয়ে আছেন ইংরেজি ভাষায় তাদের জন্য নতুন সুযোগ রয়েছে এ স্কলারশিপ আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের বেশ কিছু দেশকে টার্গেট করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা

স্কলারশিপ IELTS ছাড়া কানাডায়ঃ স্কলার্শিপ এর সুযোগ রয়েছে কানাডায় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আই ই এল টি এস ছাড়া সেগুলো হল ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ সাস্কাচে ওয়ান,   ইউনিভার্সিটি অফ ইউনিপেক ও কারটন বিশ্ববিদ্যালয়। 

স্কলারশিপ IELTS ছাড়া জার্মানিতেঃ জার্মানি দেশটিকে বেছে নেওয়া যায় অল্প খরচে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে।  IELTS পরীক্ষা দিতে হয় না কিছু কিছু নির্দিষ্ট জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেখানে পড়তে গেলে।

ইউরোপের যেসব দেশে ভিসা সহজে পাওয়া যায়

ইউরোপ দেশে আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক মানুষ যেতে চায়। ইউরোপ দেশ বস বস করাটা সবার কাছে স্বপ্নের মতন। সেনজেনযুক্ত ইউরোপের একটি দেশে ভিসা পেলে ২৭ টি দেশে বিনা খরচে ভ্রমণ করা যায়। সেই সব দেশগুলোর নাম হলো

  • পর্তুগাল 
  • সুজারল্যান্ড 
  • নেদারল্যান্ড 
  • হাঙ্গেরি 
  • লিথুয়ানিয়া

IELTS ছাড়া ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা 

IELTS ছাড়া ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তালিকা আপনাদের জানাবো। আইইএলটিএস ছাড়াই প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রদান করে থাকে এইসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তির আবেদন করতে পারেন।

  • ফ্রান্সঃ ফ্রান্স, ইএসএআইপি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারস,
  • জার্মানিঃ জার্মানি, সিজেন ইউনিভার্সিটি,
  • ফ্রান্সঃ ফ্রান্স, আমেরিকান বিজনেস স্কুল, 
  • ইতালিঃ ইতালি, মিলান পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি,
  • আয়ারল্যান্ডঃ আয়ারল্যান্ড ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,
  • ফ্রান্সঃ ফ্রান্স, প্যারিস ইবিএস প্যারিস,
  • বেলজিয়ামঃ বেলজিয়াম, ঘেন্ট ইউনিভার্সিটি,
  • আয়ারল্যান্ডঃ আয়ারল্যান্ড, মায়নুথ ইউনিভার্সিটি,
  • ইতালিঃ ইতাল, বোলোগনা ইউনিভার্সিটি,

আপনারা যারা ইউরোপের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়া ভর্তি হতে ইচ্ছুক তারা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সুযোগ নিতে পারেন। ইউরোপের এ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বিভিন্ন দেশে আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেখানে আই ই এল টি এস এর স্কোর ছাড়া ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

ইউরোপের কোন কোন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়

ইউরোপের কোন কোন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা অন্যান্য দেশে তুলনায় সহজে পাওয়া যায় সেসব দেশগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইউরোপের কোন কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হওয়া যেতে পারে সেই সব দেশগুলোর নাম জানা যাক।

  • ইতালি 
  • সুইডেন 
  • নেদারল্যান্ড 
  • স্পেন 
  • ফ্রান্স 
  • জার্মানি 
  • পোল্যান্ড 
  • ডেনমার্ক 
  • আয়ারল্যান্ড

বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় অনেকটা সহজে ইউরোপের দেশগুলো ছাড়াও। সেই সব দেশগুলো হচ্ছে কানাডা, ভারত, মালেশিয়া।

আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া যায় কি?

আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ কিছু দেশে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি আইইএলটিএস স্কোর দেখানোর প্রয়োজন হয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতা প্রমাণ স্বরূপ হিসেবে। 

আরো পড়ুনঃ

যেসব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য নূন্যতম আইইএলটিএস স্কোর ৬ বা ৬.৫ তুলতে পারছেন না সেসব শিক্ষার্থীরা উল্লেখ দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।

কানাডাঃ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পড়ালেখার উচ্চমান স্বীকৃতি কানাডা। কানাডায় প্রতিবছর সারা বিশ্ব থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য এডমিশন নিয়ে থাকে। কানাডায় আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি কার্ল্টন।

জার্মানিঃ আইইএলটিএস ছাড়া জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে ভর্তি হতে পারা যায় সেখানে বাধ্যতামূলক নেই আইইএলটিএস তবে থাকলে ভালো। শিক্ষার্থীর তবে আগের ইংরেজি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যম ইংরেজি জানা থাকতে হবে। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি এবং জার্মানি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লাইড সায়েন্স টেকনিকুম উইন,সালজবার্গ ইউনিভার্সিটি।

অস্ট্রেলিয়াঃ অস্ট্রেলিয়ার পড়ালেখার মান বিশ্বের সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। অস্ট্রেলিয়ার বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হলোঃ ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি, ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স এন্ড বিজনেস, মডুল ইউনিভার্সিটি।

এছাড়াও আইইএল টিএস স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে সেসব দেশের সরকারি নীতিমালা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতির উপর নির্ভর করে।

ইউরোপের কোন দেশ যেতে কত টাকা লাগে

ইউরোপের অনেক দেশে যাওয়া খুব কঠিন এবং ভিসা পাওয়াও খুব কঠিন। তাই আপনি কোন দেশ যাচ্ছেন সেদেশের উপর নির্ভর করে টাকা পরিমাণ। আর কোন কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তার ভিসার উপর নির্ভর করে টাকার পরিমান। আপনি যদি ইউরোপের কোন দেশে যান তবে আপনাকে জানতে হবে সে দেশের টাকার পরিমান কত লাগবে সেই সম্পর্কে, তাই এসব সম্পর্কে জানা যাক।

সুইজারল্যান্ডঃ আপনি যদি সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ আসবে পাঁচ লক্ষ টাকার মতো হতে পারে তবে এর কমবেশি হতে পারে আপনার প্রদানের উপর।

পর্তুগালঃ ইউরোপের একটি অন্যতম দেশ হচ্ছে পর্তুগাল বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

জার্মানিঃ ইউরোপের উন্নত দেশ হলো জার্মানি তবে এই দেশে উদ্দেশ্য অনুযায়ী খরচ হতে পারে স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে নয় থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আর পারমিট ভিসা যেতে গেলে 8 থেকে 12 লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। 

রোমানিয়াঃ বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে লাগে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা। ইউরো দেশগুলোর মধ্যে রোমা নিয়ে যাওয়ার ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায়।

ইংল্যান্ডঃ ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ উচ্চশিক্ষার জন্য পারি জমিয়ে থাকে। ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে আছাড়াও ভ্রমণে বা অন্য কোন উদ্দেশ্য গেলে একই পরিমাণে খরচ আসতে পারে।

ইতালিঃ ইতালি হচ্ছে অপরূপ একটি দেশ। এ দেশে গেলে টাকা পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কোন ভিসা যেতে চান তার উপর। আপনি যদি ওয়ার্কের সাথে যেতে চান তাহলে ৮ বা ৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে ৪ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে এছাড়া চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং স্টুডেন্ট ভিসা ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

 IELTS ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যাওয়া যায় সেসব দেশের সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর

 প্রশ্নঃ IELTS ছাড়া কি পড়াশোনা করা যায় সাইপ্রাসে? 

 উত্তরঃ IELTS প্রযোজন হয় না সাইপ্রাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা উদ্দেশ্যে ভর্তি আবেদন করতে। তবে আপনি সাইপ্রাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য একটি ফাউন্ডেশন বা পাথয়ে  প্রোগ্রাম পছন্দ করতে পারেন।

 প্রশ্নঃ IELTS কত পয়েন্ট লাগে অস্ট্রেলিয়া যেতে?

 উত্তরঃ  IELTS এর পয়েন্ট ৬-৭ লাগে অস্ট্রেলিয়া পড়াশোনা করার জন্য এছাড়াও নির্দিষ্ট স্কোর প্রয়োজন হতে পারে আরো কোন বিষয়ে।

প্রশ্নঃ আইইএলটিএস এর স্কোর কত হতে হয় ইতালিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে?

উত্তরঃ ইতালিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আইইএলটিএস স্কোর ৬ প্রয়োজন আবেদনকারী দেশটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় জনপ্রিয় ইংরেজি প্রোগ্রামের জন্য। আর এদেশটির জন্য নিজস্ব ভাষার দক্ষতা A1ও A2 পর্যন্ত বা প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত দক্ষতা হতে হবে যদি এটি বাধ্যতামূলক নয় তবে।

মন্তব্যঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় 

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সেসব সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপ দেশগুলোর যেতে চান তার নাম গুলো জানতে পেরেছেন। এছাড়াও ইউরোপের কোন কোন দেশে আইইএলটিএস এর কত পয়েন্ট লাগে এবং সেদের সেই স্টুডেন্ট ভিসা ভ্রমণ ভিসা এবং ওয়ার্ক সার্ভিস ভিসায় কত টাকা খরচ হয়ে এসব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এছাড়াও আমি মনে করি ইউরোপের দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নেওয়া প্রয়োজন। তবে ইউরোপের দেশগুলোতে এক এক দেশের এক এক রকম নিয়ম কানুন রয়েছে সে দেশে সে অনুযায়ী পাসপোর্ট ভিসার খরচ আসতে পারে। তাই আপনি টাকার পরিমান জেনে পছন্দের দেশগুলো বেছে নিতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url