গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি? উপকারিতা, ঝুঁকি ও পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি? আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ।গর্ভবতী মেয়েরা গর্ভাবস্থায় লটকন খেতে পারবে।গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য লটকন কতটা উপকারি।
লটকন টক ও মিষ্টি জাতীয় ফল যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী। আজকের এই আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি?
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি?
- গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি?
- গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা
- লটকন ফলের পুষ্টিগুণ সমূহ
- লটকন কিভাবে খায়? লটকন খাওয়ার নিয়ম
- লটকনের বিচি খেলে কি হয়?
- লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে?
- লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে?
- কিডনি রোগীরা লটকন খেতে পারবে কি?
- লটকন খাওয়ার উপকারিতা
- লটকন ফলের অপকারিতা সমূহ
- লটকনে কি আছে জেনে নিন
- লটকন ফল খাওয়ার সতর্কতা
- লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি?
গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি?
গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি? হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যায়। গর্ভবতীদের জন্য লটকন এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। গবেষণায় দেখা যায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে লটকন খাওয়া যেতে পারে।গর্ব অবস্থায় আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে বাচ্চার ওজন কম হয় এতে করে বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি দেখা দেয়। গর্ভবতীদের জন্য রক্তস্বল্পতা দূর করতে প্রতিদিন ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করতে হবে। তাই লটকনে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইরন রয়েছে যা গর্ভবতীর জন্য রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণ মহিলার চাইতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণা লাগে। তাই গর্ভাবস্থায় বেশি পানি পান করার প্রয়োজন। লটকনে জলীয় অংশ বেঁচে থাকায় এটি তৃষ্ণা মেটাতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীদের জন্য খাদ্য শক্তি বেশি প্রয়োজন। খাদ্য শক্তি পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম লটকনে ৯১ কিলোগ্রাম ক্যালরি। যা অন্যান্য খাদ্য তুলনায় দ্বিগুণ শক্তি যোগায়। তাই খাদ্যশক্তির সঞ্চয়ের জন্য লটকন খাওয়া যেতে পারে গর্ভাবস্থায়। লটকনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন দুই তিনটি লটকন খেলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরন করতে সাহায্য করে। কেননা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভিটামিন সি খুবই প্রয়োজনীয় একটু উপাদান। এর কারণ হচ্ছে মাতৃগর্ভে শিশু বেড়ে ওঠার জন্য এবং ভ্রনের আর হার শক্তি ও মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে লটকন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেকোনো অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী লটকন খেতে হবে, তা না হলে গর্ভবতীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন যে গর্বঅবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- লটকন বমি বমি ভাব দূর করতে এবং মানসিক অবসাদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- লটকনে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে।
- গবেষণায় দেখা গিয়েছে লটকন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এই ফলে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। আর শরীরে সরকারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- আমাদের শরীরের রক্ত এবং হাড়ের জন্য খুব কার্যকরী লটকনে থাকা আইরন।
- লটকন ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
- এই ফলে রয়েছে এনজাইম ও এমাইনো এসিড যা দেহ গঠন ও কোষ কলাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- লটকনে থাকা পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে সহায়তা করে।
- লটকনে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
- লটকন ফল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
তাহলে বুঝতে পারছেন লটকন আমাদের কতগুলো উপকার করে সে বিষয়গুলো জানতে পারলেন।
লটকন ফলের পুষ্টিগুণ সমূহ
লটকন একটি সুস্বাদু ফল যা খেতে টক মিষ্টি। অনেকেই লটকন খেতে পছন্দ করে। অনেকেই জানেনা লটকন ফলে কি পরিমান পুষ্টির উপাদান রয়েছে সে সম্পর্কে। লটকন আমাদের শরীরের জন্য কার্যকরী একটি ফল। তাহলে জেনে নেওয়া যাক লটকন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে
১০০ গ্রাম লটকনের শাসে থাকার পুষ্টিগুণ সমূহ
- আমিষ ১.৪২ গ্রাম
- খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম
- লোহ ০.৩ গ্রাম
- ভিটামিন বি১ ০.০৩ গ্রাম
- ভিটামিন বি২ ০.১৯ গ্রাম
- চর্বি থাকে ০.৪৫ গ্রাম ।
আরো থাকে অন্যান্য ভিটামিন সমুহ
- পটাশিয়াম
- ভিটামিন সি
- ম্যাগনেসিয়াম
- ভিটামিন বি
- এমাইনো এসিড
লটকন কিভাবে খায়? লটকন খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি লটকন ফলের সাথে নতুন পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন না কিভাবে খেতে হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে খাব লটকনের কোন অংশ খাওয়া যাবে এ বিষয়ে। তাই লটকন খাওয়ার আগে আপনাকে জেনে নেওয়া উচিত কিভাবে খেতে হয় সেসব সম্পর্কে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক লটকন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
লটকন কাঁচা থাকলে সবুজ হবে এবং পাকলে এটি হলুদ বর্ণের হবে। হলুদ বর্ণের এই ফলটি
দুই থেকে পাঁচটি বীজ থাকে। আর এই বীজের উপরের অংশের সাদা
নরম অংশ খাওয়ার উপযোগী। আর এই ফলটি খেতে টক মিষ্টি স্বাদ। এই ফলের
শাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ। যা আমাদের নানা রকম সমস্যায়
সমাধান করে থাকে। তাই আপনি খাদ্য তালিকায় লটকন খেতে পারেন।
লটকনের বিচি খেলে কি হয়?
লটকনের বিচি খাওয়াতে কোন অপকারিতা নেই। তবে এই বিচি খেলে হজম করা কঠিন হয়।
সাধারণত লটকনের বীজ খাওয়া হয় না। তবে এই বীজ খেলে অল্প পরিমাণে
খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণে ছিলে হজমের সমস্যা হতে পারে। লটকনের বিচি খেলে যা হতে
পারে সেসব সম্পর্কে জানা যাক।
1.পেট ফাঁপা সমস্যাঃ অতিরিক্ত লটকনের বিচি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা
দেয় এবং পেটে গ্যাস হয় যার ফলে অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
2.হজমের সমস্যাঃ লটকনের বিচি আকারে বড় হয় আর শক্ত হয় যার ফলে সহজে হজম
হতে চাই না। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হয়।
3.এলার্জি সমস্যাঃ কারো ক্ষেত্রে লটকনের বিচি খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
4.অন্যান্য সমস্যাঃ লটকনের বীজ খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মত
সমস্যা হতে পারে। তবে লটকনের বিজ খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।
লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে?
লটকনে ক্যালরি খুব বেশি নয়। মাঝারি আকারের এক কাপ লটকন প্রায় ৫০-৬০ ক্যালোরি দেয়। অতএব পরিমিত খাওয়ার ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। এতে প্রাকৃতিক চিনে থাকলেও তা খুব বেশি পরিমাণে না। তবে অতিরিক্ত খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে, যা ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। সাইবার থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে ফলে অযাচিত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি?
ত্বকের জন্য ভালো লটকন ত্বকের মশারাইজার করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করে।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে লটকনে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। এছাড়া আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে লটকনে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। তাই বোঝা যাচ্ছে যে লটকন খেলে ওজন বাড়ে না বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে?
আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন যে, লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? লটকন
খেলে ডায়াবেটিস পাড়ে না। তবে কিছু উপাদান লটকনে থাকা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো লটকন কারণ
লটকনে ক্যালরি এবং খাটের পরিমাণ কম থাকে। লটকনে রয়েছে ফাইবার যা হজমে
সাহায্য করে এবং ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও লটকনে রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লটকন খাওয়ার মাধ্যমে মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। এই ফলে রয়েছে ফাইবার
যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে আর লটকন ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য
করে। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা লটকন
খাওয়ার পরিমাণ সিমুতে রাখা উচিত যে কোন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ
করে খাওয়া ভালো।
কিডনি রোগীরা লটকন খেতে পারবে কি?
আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন যে কিডনি রোগীরা লটকন খেতে পারবে কিনা সে
সম্পর্কে।সাধারণ মানুষের লটকন খাওয়ার ফলে নানা রকম সমস্যা দূর করতে
সাহায্য করে।কিন্তু কিডনি রোগীরা এ ফল খেলে তাদের বিপদ হতে পারে। তবে ৩ থেকে
৪ টার বেসিন না খায়। তাহলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। লটকনে রয়েছে
পটাশিয়াম যদি কিডনি রোগী লটকন বেশি পরিমাণে খায় তাহলে ক্ষুধা মন্দার সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
কিডনি রোগীদের এ কারণে কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি কিডনি রোগীরা লটকন
খাওয়ার প্রতি আগ্রহী বেশি থাকে তাহলে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
খাবেন। আপনাকে ডাক্তার অনুমতি দিলে নির্দ্বিধায় লটকন ফলটি খেতে পারবেন। আর
না দিলে খেতে পারবেন না। আপনি যদি লটকনের ভিজে খাওয়া সম্পর্কে না জানেন
তাহলে উপরের অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন।
লটকন খাওয়ার উপকারিতা
লটকনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ঔষধি গুণে ভরপুর। মৌসুমী ফল হওয়াই লটকন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লটকন আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে সাহায্য করে। লটকনে রয়েছে ভিটামিন বি, টামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাহলে জেনে নেওয়া যাক লটকন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে।
- বিভিন্ন কারণে অনেকেরই চোখ লাল হয়ে যায় চোখ চুলকায় ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। লটকন ফল নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
- লটকন বমি বমি ভাব দূর করতে এবং মানসিক অবসাদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- লটকনে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে।
- গবেষণায় দেখা গিয়েছে লটকন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এই ফলে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। আর শরীরে সরকারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- আমাদের শরীরের রক্ত এবং হাড়ের জন্য খুব কার্যকরী লটকনে থাকা আইরন।
- লটকন ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
- এই ফলে রয়েছে এমাইনো এসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষ কলাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- লটকনে থাকা পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে সহায়তা করে।
- লটকনে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
- লটকন ফল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
লটকন ফলের অপকারিতা সমূহ
লটকনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ঔষধি গুণে ভরপুর। মৌসুমী ফল হওয়াই লটকন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লটকন আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে সাহায্য করে। লটকন খাওয়ার ফলে কোন ক্ষতি হয় না তবে আমাদের শরীরের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতা লক্ষ্য করা যায় যেগুলো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক লটকন ফলের উপকারিতা সমূহ।
- বেশি পরিমাণে লটকন ফল খাওয়ার মাধ্যমে ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
- লটকন ফল খালি পেটে খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই খালি পেটে না খাওয়া উচিত।
- লটকন ফল খাওয়ার পরে সাথে সাথে দুধ খাবেন না আধা ঘন্টা বা ১ ঘন্টা পর দুধ খাবেন না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের লটকন ফল খাওয়ার মাধ্যমে এনার্জি বেড়ে যেতে পারে তাই ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
তাহলে বুঝতে পারছেন লটকন ফল কতটা উপকারী আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য। লটকন খেলে
তেমন অপকারিতা নেই তাই লটকন ফল আপনাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
লটকনে কি আছে জেনে নিন
আপনারা অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে, লটকনের কি আছে? লটকন হচ্ছে বর্ষা মৌসুমী ফল। এ ফলটি টক মিষ্টি স্বাদে জন্য বেশ জনপ্রিয়। এই ফল আঙ্গুরের মতো থোকা থোকা ঝুলতে দেখা যায় লটকনের রং হয় হলুদ। লটকন আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে সাহায্য করে। লটকনে রয়েছে ভিটামিন বি, টামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়া আরো উপাদান লটকনে রয়েছে লোহ ও আয়রন। এ সকল উপাদান আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যা সমাধান করে থাকে। যা হচ্ছে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লটকনে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
লটকন ফল খাওয়ার সতর্কতা
লটকন ফল বহু গুনে গুণান্বিত এর কোন অপকারিতা লক্ষ্য করা তেমন
যায়নি। তবে এ ফোনের কিছু সতর্কতা রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- লটকন ফল খালি পেটে খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে তাই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।
- অতিরিক্ত খাবার ফলে খুদা মন্দা বেড়ে যেতে পারে তাই বেশি খাওয়া উচিত নয়।
- বেশি পরিমাণে লটকন ফল খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে তাই সতর্কতার সাথে খেতে হবে।
- এই ফল রাতে খেলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আর সকালে নাস্তার আধাঘন্টা পর খাওয়া ভালো।
- লটকনে রয়েছে আইরন যাদের কষ্ট কাঠিন্য রয়েছে এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তা নাহলে কষ্ট কাটানো বাড়িয়ে দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি?
পরিশেষে বলা যায় যে, গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি? লটকন আমাদের নানা রকম সমস্যা সমাধান করে থাকে। লটকনে রয়েছে ভিটামিন বি, টামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য ভালো লটকন ত্বকের মশারাইজার করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া আরো উপাদান লটকনে রয়েছে লোহ ও আয়রন। এ সকল উপাদান আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যা সমাধান করে থাকে। যা হচ্ছে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লটকনে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url