গাভির দুধের অপকারিতা : জানুন স্বাস্থ্যঝুকির দিকগুলো

অনেকে মনে মনে করেন গাভির দুধ সুস্বাস্থ্য এবং শক্তির প্রধান উৎস,তবে আধুনিক গবেষনা ও অনেক পুষ্টিবিদের মতে,গাভির দুধ সবার জন্য উপকারি নাও হতে পারে। গাভির দুধের কিছু গুরুপূর্ণ অপকারিতা ১. ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স:অনেক মানুষের শরীরে ল্যাকটোজ হজম করার জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম ( ল্যাকটোজ) কম থাকে। ফলে দুধ খাওয়ার পর পেট ব্যথী, গ্যাস, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। ২. অ্যালার্জি:ছোট শিশু বা কিছু প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা গাভির দুধে থাকা প্রোটিনের প্রতি অ্যালার্জিক হতে পারেন। এতে ত্বকে ফুসকুড়ি, বমি,এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ৩. হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব : আধুনিক খামারে অনেক সময় গাভিকে বেশি দুধ দেওয়ার জন্য হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এই উপাদান গুলো দুধের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকে নানা রোগের ঝু্ঁকি বাড়াতে পারে। ৪. হৃদরোগের সম্ভাবনা: পূর্ণচর্বিযুক্ত গাভির দুধে রয়েছে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ৫. হাড়ক্ষয়: অনেকে মনে করেন, ক্যালসিয়াম মানেই হাড় ভালো থাকবে। কিন্তু অতিরিক্ত প্রানিজ প্রোটিন শরীরে অ্যাসিড তৈরি করে,যা হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। বিকল্প কী হতে পারে? * বাদাম দুধ(আলমন্ড মিল্ক) * সয়া দুধ * নারকেল দুধ ওট দুধ ** উপসংহার : গাভির দুধ সবার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। নিজের শরীর ও স্বাস্থ্য বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url